ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম’ , স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিনেত্রী হ্যাপীর

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ১৪ Time View

ছবি : সংগৃহীত

এক দশক আগে, অর্থাৎ ২০১৪ সালে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে আলোচনায় জায়গা করে নেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী। পরবর্তীতে অভিনয় ছেড়ে শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির আড়ালে চলে যান। ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে নিজের নামও পরিবর্তন করেন, নাম রাখেন আমাতুল্লাহ। তারপর মুফতি মোহাম্মদ তালহা ইসলাম নামক এক মাদরাসা শিক্ষককে বিয়ে করেন হ্যাপী।

এবার সাবেক এই মডেল ও অভিনেত্রী স্বামী তালহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন। তার স্বামী এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন হ্যাপী। গত ১২ মে স্বামী তালহার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন তিনি।

এছাড়া বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান হ্যাপীর আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস।

এ সময় এই আইনজীবী বলেন, হ্যাপী মডেলিং ও বিনোদন ছেড়ে দ্বীনের পথে আসে। গত ৭ বছর আগে নড়াইলের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এর কিছু সময় পর হ্যাপী জানতে পারেন, তার স্বামী তালহার বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্তি রয়েছে। নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের একপর্যায়ে কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেন তালহা। এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন তিনি।

মুফতি তালহা যৌতুকের জন্য হ্যাপীকে মারধর করেছেন দাবি করে আইনজীবী বলেন,তালহার চারিত্রিক সমস্যার পাশাপাশি প্রায়ই হ্যাপী ও তার সন্তানের ওপর নির্যাতন করেন। সামান্য কথার বিপরীত হলেও হ্যাপীর গায়ে হাত তুলতেন তালহা। আবার যৌতুকের জন্য মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করেছেন তাকে।

এদিকে হ্যাপী বলেন, তার আসল চরিত্র প্রকাশ হওয়ার পরই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদের জন্য তালাকের কথা অনেকবার বলেছি। তাকে যতবারই তালাকের কথা বলতাম, ততবারই আমাকে অমানসিক নির্যাতন করেছে। তালাকের জন্য শরীয়তসম্মত অধিকার নেই আমার কাছে। তাকে খোলা তালাকের কথা বললে অনেক মোটা অঙ্ক দাবি করেন। যেমন, এক কোটি টাকা বা সন্তানকে আজীবনের জন্য দিয়ে দিতে হবে। সন্তানকে কোনোদিন দেখতে পারব না, এ ধরনের শর্ত দেয়া হয় আমাকে।

এছাড়াও সাবেক এই মডেল বলেন, গত পরশু তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর রাতেই লোকজন নিয়ে আমার বাসায় এসে ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়ীক মালামাল নিয়ে চলে যায় তালহা। মামলা তুলে নেয়ার জন্যও নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি এতদিন মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু এখন পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় সব প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে তালহা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তার মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্র মারফতে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

‘মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম’ , স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিনেত্রী হ্যাপীর

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ০৬:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

এক দশক আগে, অর্থাৎ ২০১৪ সালে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে আলোচনায় জায়গা করে নেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী। পরবর্তীতে অভিনয় ছেড়ে শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির আড়ালে চলে যান। ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে নিজের নামও পরিবর্তন করেন, নাম রাখেন আমাতুল্লাহ। তারপর মুফতি মোহাম্মদ তালহা ইসলাম নামক এক মাদরাসা শিক্ষককে বিয়ে করেন হ্যাপী।

এবার সাবেক এই মডেল ও অভিনেত্রী স্বামী তালহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন। তার স্বামী এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন হ্যাপী। গত ১২ মে স্বামী তালহার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন তিনি।

এছাড়া বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান হ্যাপীর আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস।

এ সময় এই আইনজীবী বলেন, হ্যাপী মডেলিং ও বিনোদন ছেড়ে দ্বীনের পথে আসে। গত ৭ বছর আগে নড়াইলের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এর কিছু সময় পর হ্যাপী জানতে পারেন, তার স্বামী তালহার বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্তি রয়েছে। নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের একপর্যায়ে কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেন তালহা। এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন তিনি।

মুফতি তালহা যৌতুকের জন্য হ্যাপীকে মারধর করেছেন দাবি করে আইনজীবী বলেন,তালহার চারিত্রিক সমস্যার পাশাপাশি প্রায়ই হ্যাপী ও তার সন্তানের ওপর নির্যাতন করেন। সামান্য কথার বিপরীত হলেও হ্যাপীর গায়ে হাত তুলতেন তালহা। আবার যৌতুকের জন্য মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করেছেন তাকে।

এদিকে হ্যাপী বলেন, তার আসল চরিত্র প্রকাশ হওয়ার পরই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদের জন্য তালাকের কথা অনেকবার বলেছি। তাকে যতবারই তালাকের কথা বলতাম, ততবারই আমাকে অমানসিক নির্যাতন করেছে। তালাকের জন্য শরীয়তসম্মত অধিকার নেই আমার কাছে। তাকে খোলা তালাকের কথা বললে অনেক মোটা অঙ্ক দাবি করেন। যেমন, এক কোটি টাকা বা সন্তানকে আজীবনের জন্য দিয়ে দিতে হবে। সন্তানকে কোনোদিন দেখতে পারব না, এ ধরনের শর্ত দেয়া হয় আমাকে।

এছাড়াও সাবেক এই মডেল বলেন, গত পরশু তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর রাতেই লোকজন নিয়ে আমার বাসায় এসে ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়ীক মালামাল নিয়ে চলে যায় তালহা। মামলা তুলে নেয়ার জন্যও নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি এতদিন মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু এখন পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় সব প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে তালহা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তার মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্র মারফতে জানা গেছে।