ডিএমপি কমিশনার
মামলার এজাহার থেকে ৫ জনের নাম বাদ দেন সোহাগের বোন

- Update Time : ০৮:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
- / ৬০ Time View
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় আগের খসড়া এজাহার থেকে ৫ জনের নাম বাদ দেন তার বোন।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সোহাগ হত্যাকান্ডে মূল আসামী অভি গ্রেফতার
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো— মামলা দায়েরের জন্য নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার থানায় আসে, কিছুক্ষণ পর সোহাগের সৎ ভাই রনিও থানায় আসে। তারা নিজের মধ্যে পরামর্শ করে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন।
তিনি বলেন, এরমধ্যে নিহতের আপন বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় এসে এজাহার দায়েরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তার সামনে আগের খসড়া এজাহার উপস্থাপন করা হয়। এ সময় তিনি আগের খসড়া এজাহার থেকে ৫ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে আরও একজনের নাম যুক্ত করে মোট ১৯ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেন।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, নিহতের বোনের এজাহার দাখিলের পর কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু করা হয়। মামলা নম্বর-৭। কোনো ঘটনায় এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। এজাহারের উল্লিখিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঘটনা চলাকালীন ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় অভিযুক্তরা একটা মবের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ এমন স্লোগান দিচ্ছিল। এ অবস্থায় চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আরও ০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৯ জন।