মামদানির জয়ে নিউইয়র্কে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড ট্রাম্প
- Update Time : ১১:০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ৪১২ Time View
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’, কারণ নিউইয়র্কের ভোটাররা বামপন্থী ও ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানিকে তাঁদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ফ্লোরিডার মায়ামিতে এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিষয়টা সামলে নেব।” তবে তিনি এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। তাঁর দাবি, দেশের সবচেয়ে বড় শহরটি এখন “কমিউনিস্ট শহরে” পরিণত হতে যাচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, “মার্কিনদের সামনে এখন খুবই স্পষ্ট এক সিদ্ধান্ত—এটা কমিউনিজম আর সাধারণ বুদ্ধির মধ্যে একটি পছন্দ। এটা অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন ও অর্থনৈতিক সাফল্যের বিস্ময়ের মধ্যে এক বেছে নেওয়ার সময়।”
গত বছরের ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এই ভাষণ দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের অর্থনীতি উদ্ধার করেছি, স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছি এবং একসঙ্গে আমাদের দেশকে বাঁচিয়েছি—৩৬৫ দিন আগে সেই গৌরবময় রাতে।”
৩৪ বছর বয়সী দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম রাজনীতিক জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান মহল ও ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনার মধ্যেও। ট্রাম্পপন্থী ব্যবসায়ী মহল ও রক্ষণশীল গণমাধ্যম তাঁর নীতিমালা ও ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে তাঁকে আক্রমণ করে আসছিল।
বিজয়োৎসবে জোহরান বলেন, “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে ট্রাম্পের মতো নেতাকে হারানো সম্ভব, তাহলে সেটা করতে পারবে সেই শহরই, যেখান থেকে তিনি নিজে উঠে এসেছেন।”
নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাটদের এই জয়, পাশাপাশি ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনে সাফল্য, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবহে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে—যা আগামী বছরের মধ্যবর্তী কংগ্রেস নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ভোটাররা একই দিনে নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন, যা ট্রাম্পের তথাকথিত পক্ষপাতমূলক গেরিম্যান্ডারিং প্রচেষ্টা ঠেকাতে সহায়ক হতে পারে।
তবে এসব নির্বাচনী পরাজয়ের দায় নিতে অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। নিজের প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ তিনি দাবি করেছেন, কিছু জরিপে বলা হয়েছে—রিপাবলিকানদের পরাজয়ের কারণ সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) এবং নির্বাচনে তাঁর নিজের নাম ব্যালটে না থাকা।



































































































































































































