ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আওয়ামী লীগ নেতা এখনও চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন রংপুরে দোকানপাট বন্ধ রেখে আধাবেলা ধর্মঘট পালন গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে টঙ্গীতে তা’মীরুল মিল্লাত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি দেশব্যাপী আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা এসএসসি পরীক্ষা: মোরেলঞ্জে দায়িত্ব অবহেলার কারনে ৯ শিক্ষককে বহিস্কার চীনের উপহারের হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে রংপুরে তিস্তা এলাকা পরিদর্শন জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবিলম্বে নির্বাচন দাবি জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং দক্ষতা শীর্ষক সেমিনার সিরিজ অনুষ্ঠিত কুবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৯ এপ্রিল, পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা 

মাদক ধ্বংস করতে গিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে ফেললেন হাজার পিস ইয়াবা, মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কারাগারে

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২১৮ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিস্পত্তিকৃত মামলার আলামত ও মাদক ধ্বংস করার সময় পকেটে লুকিয়ে ফেলায় হাতেনাতে মাহমুদুল হাসান নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে মামলা দায়েরের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন। তার কাছ থেকে ১০২২ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সূত্রে জানা যায়, আদালতে মাদক ও আলামত মামলা নিস্পত্তি করার পর আদালত চত্বরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রতিমাসে মাদক ও আলামত গুলো ধ্বংস করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়।

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আদালতের মালখানায় জমা থাকা মাদকগুলো চত্বরে নিয়ে আসা হচ্ছিল।

এরমধ্যে ফেন্সিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন।

এতে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে থাকায় কাছে আসলে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটের চোখে পড়লে সন্দেহ হয়। ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করতে বলেন। তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে পুলিশ ১০২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম এ প্রতিবেদককে জানান, এই ঘটনায় আলাদতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদি হয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেছেন। তাকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মাদক ধ্বংস করতে গিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে ফেললেন হাজার পিস ইয়াবা, মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কারাগারে

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিস্পত্তিকৃত মামলার আলামত ও মাদক ধ্বংস করার সময় পকেটে লুকিয়ে ফেলায় হাতেনাতে মাহমুদুল হাসান নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে মামলা দায়েরের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন। তার কাছ থেকে ১০২২ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সূত্রে জানা যায়, আদালতে মাদক ও আলামত মামলা নিস্পত্তি করার পর আদালত চত্বরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রতিমাসে মাদক ও আলামত গুলো ধ্বংস করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়।

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আদালতের মালখানায় জমা থাকা মাদকগুলো চত্বরে নিয়ে আসা হচ্ছিল।

এরমধ্যে ফেন্সিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন।

এতে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে থাকায় কাছে আসলে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটের চোখে পড়লে সন্দেহ হয়। ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করতে বলেন। তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে পুলিশ ১০২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম এ প্রতিবেদককে জানান, এই ঘটনায় আলাদতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদি হয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেছেন। তাকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।