ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদকের টাকায় নির্মিত নির্মল ধরের ৬ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৫ Time View

মাদক কারবারের টাকায় নির্মিত ছয়তলা ভবন ক্রোকের (জব্দ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার রায়ে নির্মল ধরের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়তলা ভবনটি ক্রোকের নির্দেশ দেন কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ।

আদালত একইসঙ্গে নির্মল ধরের স্ত্রী দিপ্তী রাণী ধরের টেকনাফের হ্নীলা শাখার কৃষি ব্যাংকে থাকা হিসাবটিও (অ্যাকাউন্ট) স্থগিতের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন।

কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা নির্মল ধর ৩ দশমিক ৩৩ শতক জমির ওপর নির্মাণ করেছিলেন দৃষ্টিনন্দন ভবনটি।

কিন্তু তার বৈধ আয়ের উৎস প্রমাণ করে দিতে পারেননি আদালতে। এ কারণে দুদকের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদক কারবারি নির্মল ধরের ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনটি ক্রোকের আদেশ হল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহিম। তিনি জানান, মাদক ব্যবসা করে নির্মল ধর কোটিপতি হন।

অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ নির্মল ধরকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠায় দুদক। জবাব না দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নোটিশ পাঠানো হয়। একই সালের ১২ অক্টোবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন নির্মল ধর। তাতে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৮ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করা হয়।

দুদুকের পিপি জানান, অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রেখে নির্মল ধর দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। মামলা এজাহারে আরো বলা হয়, কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়াতে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৫ টাকায় কেনা ৩ দশমিক ৩৩ শতক জমির ওপর ১ কোটি ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা খরচে নির্মিত ছয় ভবনের তথ্য গোপন করেন নির্মল ধর।

এ ব্যাপারে নির্মল ধরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এ রায় দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

মাদকের টাকায় নির্মিত নির্মল ধরের ৬ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাদক কারবারের টাকায় নির্মিত ছয়তলা ভবন ক্রোকের (জব্দ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার রায়ে নির্মল ধরের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়তলা ভবনটি ক্রোকের নির্দেশ দেন কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ।

আদালত একইসঙ্গে নির্মল ধরের স্ত্রী দিপ্তী রাণী ধরের টেকনাফের হ্নীলা শাখার কৃষি ব্যাংকে থাকা হিসাবটিও (অ্যাকাউন্ট) স্থগিতের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন।

কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা নির্মল ধর ৩ দশমিক ৩৩ শতক জমির ওপর নির্মাণ করেছিলেন দৃষ্টিনন্দন ভবনটি।

কিন্তু তার বৈধ আয়ের উৎস প্রমাণ করে দিতে পারেননি আদালতে। এ কারণে দুদকের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদক কারবারি নির্মল ধরের ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনটি ক্রোকের আদেশ হল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহিম। তিনি জানান, মাদক ব্যবসা করে নির্মল ধর কোটিপতি হন।

অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ নির্মল ধরকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠায় দুদক। জবাব না দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নোটিশ পাঠানো হয়। একই সালের ১২ অক্টোবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন নির্মল ধর। তাতে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৮ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করা হয়।

দুদুকের পিপি জানান, অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রেখে নির্মল ধর দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। মামলা এজাহারে আরো বলা হয়, কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়াতে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৫ টাকায় কেনা ৩ দশমিক ৩৩ শতক জমির ওপর ১ কোটি ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা খরচে নির্মিত ছয় ভবনের তথ্য গোপন করেন নির্মল ধর।

এ ব্যাপারে নির্মল ধরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এ রায় দেন।