ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় হাঁসের বাচ্চার মৃত্যু নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৭

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ৬৯ Time View

মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনিয়ন কেচুয়াঢুবি গ্রামে হাঁসের বাচ্চার মৃত্যুর ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে কেচুয়াঢুবি গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।

আহতরা হলেন- পলাশ রায় (৪০) নিধীর রায় (৪০) মিন্টু রায় (৪০) প্রমীলা রায় (৩০) সুবর্ণা রায় (২২) আমীম রায় (৩৮) স্বপন রায় ( ৩০)। তাদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে অসীম রায় ও স্বপন রায়ের মধ্যে হাঁসের বাচ্চা মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অসীম রায়ের লোকজন স্বপনের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ৭ জন আহত হয়।

তবে এ ঘটনায় আহত আসীম রায় জানালেন অন্য ঘটনা। তিনি বলেন, ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার মেয়েকে প্রতিবেশী প্রবীরের ছেলে হৃদয় রায় ও তার সঙ্গী অমিত রায়, পরশ রায় দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করেছিল। এর প্রতিবাদে মাগুরা জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছি। সেই মামলা তুলের নেওয়ার জন্য নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছিল পলাশ রায়, নিধীর রায়সহ অন্যরা। যার সূত্র ধরে বাড়িতে এসে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এছাড়া আমার বাড়ি-ঘর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, কেচুয়াঢুবি গ্রামে হাঁসের বাচ্চার মৃত্যু ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

মাগুরায় হাঁসের বাচ্চার মৃত্যু নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৭

Update Time : ০৮:১৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনিয়ন কেচুয়াঢুবি গ্রামে হাঁসের বাচ্চার মৃত্যুর ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে কেচুয়াঢুবি গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।

আহতরা হলেন- পলাশ রায় (৪০) নিধীর রায় (৪০) মিন্টু রায় (৪০) প্রমীলা রায় (৩০) সুবর্ণা রায় (২২) আমীম রায় (৩৮) স্বপন রায় ( ৩০)। তাদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে অসীম রায় ও স্বপন রায়ের মধ্যে হাঁসের বাচ্চা মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অসীম রায়ের লোকজন স্বপনের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ৭ জন আহত হয়।

তবে এ ঘটনায় আহত আসীম রায় জানালেন অন্য ঘটনা। তিনি বলেন, ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার মেয়েকে প্রতিবেশী প্রবীরের ছেলে হৃদয় রায় ও তার সঙ্গী অমিত রায়, পরশ রায় দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করেছিল। এর প্রতিবাদে মাগুরা জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছি। সেই মামলা তুলের নেওয়ার জন্য নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছিল পলাশ রায়, নিধীর রায়সহ অন্যরা। যার সূত্র ধরে বাড়িতে এসে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এছাড়া আমার বাড়ি-ঘর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, কেচুয়াঢুবি গ্রামে হাঁসের বাচ্চার মৃত্যু ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।