ময়মনসিংহে গোয়েন্দা শাখার অভিযানে অপহরণ চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার, প্রাইভেট কার জব্দ

- Update Time : ১০:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৪৮ Time View
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)’র অভিযানে সড়ক মহা-সড়কে প্রইভেট কারে কৌশলে যাত্রী উঠিয়ে ইতিমধ্যে ৫০টির অধিক অপহরণ মুক্তিপন আদায়কারী চক্রের সদস্য যারা অমানুষিক নির্যাতন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে আসছিল সেই চক্রের মূল হোতাসহ ৪ জনকে গতকাল গ্রেফতার করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল ইসলাম এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ আবুল হোসেন।
পুলিশ জানায়, ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সার্কুলেশনকে একটি চক্র দিঘারকান্দা বাইপাস থেকে অপহরণ করে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে, ধাঁরালো অস্ত্র দ্বারা প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে এবং তার মোবাইল ফোন থেকে নিকট আত্মীয় ও পরিবারবর্গের কাছে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে মোট দুই লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।
এই ঘটনার পর গাজীপুর, শ্রীপুর, মাওনা, ভালুকা এবং ফুলপুরে একই প্রকৃতির একাধিক ঘটনা সম্পর্কে জেলা পুলিশের নিকট তথ্য পাওয়া গেলে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল চক্রটিকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করার জন্য কাজ শুরু করে।
সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখ তারা একইভাবে আরও একজন ভিকটিমকে অপহরণের জন্য প্রাইভেটকার নিয়ে বের হলে গোপন সূত্রে জেলা গোয়েন্দা শাখা তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং একটি আভিযানিক দল গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল, ভালুকা-গফরগাঁও সড়ক এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাওনা ও শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
চক্রের লিডার, মো: শাহাদত হোসেন (৪৬) তার সহযোগীরা হলেন, আব্দুস সালাম (৪৫), মো: শিখন আলী (২০) ও মো: আবু তাহের (৩৫)। এদলের আরো সদস্যদের পুলিশ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এদের প্রত্যেকের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে পুলিশ অপরাধে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, ০৫ (পাঁচ) টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, চক্রটির মূল হোতা শাহাদত প্রায় ৮ বছর আগে মাওনা বাসস্ট্যান্ডে প্রাইভেটকার চালক থাকা অবস্থায় এই অপরাধকর্মে যুক্ত হয়, বিভিন্ন সময় একই পদ্ধতিতে ৫০ টিরও বেশি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। শাহাদতের বড় ভাই সালাম ও তার আত্মীয় শিখন এই কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করত এবং ভিকটিমকে গাড়িতে তোলা, মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা বলা ইত্যাদি বিভিন্ন ভূমিকা পালন করত।