ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

মধ্যবয়সে ব্রণ হলে কী করবেন?

নওরোজ স্বাস্থ্য ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৯৪ Time View

ব্রণ বলতে সবাই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের বা টিনএজের রোগ ভাবেন। কিন্তু বাস্তবে অনেক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে ত্বকের এ সমস্যাটি টিনএজের নয় বরং শুরুই হচ্ছে টিনএজের পর থেকে। এমনকি মধ্য বয়সে এসেও এ সমস্যাটি নিয়ে অনেকেই ভুগছেন।

কারণ ব্রণ শুরুই হয় শুধু মানসিক দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কারণে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এরকমটা ঘটে মাঝ বয়সের পর। কিভাবে মানসিক চাপ থেকে ব্রণ হয় ব্রণ ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই তৈলাক্ত ত্বকে হয়ে থাকে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে বংশগত প্রভাবে এই রোগ প্রথম দেখা দেয়। তবে তৈলাক্ত ত্বক হলেই যে সবার ব্রণ হবে তা কিন্তু নয়।

তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী, যাঁরা বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণে আক্রান্ত হননি বা হয়েছিলেন, কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা ও যতেœ সময়মতো সেরে উঠেছেন, তাঁদের সহসা মধ্যবয়সে এসে আবার ব্যাপক ব্রণের আক্রমণ ঘটতে দেখা যায়। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে থাকে অতিরিক্ত উদ্বেগ ও মানসিক চাপ। শরীরে কর্টিসল নামক একটি হরমোন লেভেল বাড়িয়ে দেয় মানসিক চাপ, এই বৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক। মানসিক উদ্বেগে কর্টিসল লেভেল বাড়বে না, এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই।

কিন্তু এই বৃদ্ধি যখন দীর্ঘকালীন হয় এবং ক্রমাগতভাবে চলতেই থাকে, তখনই ঘটে বিপত্তি। কর্টিসলের এই ক্রমাগত বৃদ্ধি মুখের তেলের গ্রন্থি বা সেবেশাস গø্যান্ডের সক্রিয়তা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়, ফলে তেলের গø্যান্ড থেকে সবটুকু তেল ত্বকের উপরিভাগে বেরিয়ে আসতে পারে না, বরং ত্বকের ভেতরেই গø্যান্ডের ভেতর আটকে গিয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। বড় বড় ব্রণের জন্ম দেয়। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস যখন দীর্ঘমেয়াদি হয়, তখনই এরকম ঘটে থাকে।
করণীয়
* মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা সার্বিকভাবে চালিয়ে যাওয়া ও তাতে সফল হওয়ার বিকল্প আর কিছু নেই।
* মানসিকভাবে প্রশান্ত থাকতে নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য মেডিটেশন অত্যন্ত উপকারী।
* নিয়ম করে প্রতিদিন এক বা একাধিকবার মেডিটেশন করা, সব সময় ইতিবাচক চিন্তাধারায় নিজের মনকে পরিচালিত করার নিরন্তর প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উপকারী।
* সুন্দর মন প্রশান্তকারী সংগীত বা সুরের মূর্ছনায় অন্তত কিছুুক্ষণ নিজের মনকে ডুবিয়ে রাখতে পারলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে এ কাজটি করতে হবে নিয়মিত ভিত্তিতে।
* এসবের পাশাপাশি উপযুক্ত সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করতে হবে। চিকিৎসা মুখে ব্রণের জন্য দরকারি ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রণ বেশি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেলে মুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ারও প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে এ ধরনের ব্রণে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত না রাখলে যে ধরনের চিকিৎসাই করা হোক না কেন, ব্রণের পুনরাবির্ভাব ঘটা মোটেই বিচিত্র নয়।

(পরামর্শ দিয়েছেন ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার)

Please Share This Post in Your Social Media

মধ্যবয়সে ব্রণ হলে কী করবেন?

নওরোজ স্বাস্থ্য ডেস্ক
Update Time : ০৬:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

ব্রণ বলতে সবাই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের বা টিনএজের রোগ ভাবেন। কিন্তু বাস্তবে অনেক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে ত্বকের এ সমস্যাটি টিনএজের নয় বরং শুরুই হচ্ছে টিনএজের পর থেকে। এমনকি মধ্য বয়সে এসেও এ সমস্যাটি নিয়ে অনেকেই ভুগছেন।

কারণ ব্রণ শুরুই হয় শুধু মানসিক দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কারণে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এরকমটা ঘটে মাঝ বয়সের পর। কিভাবে মানসিক চাপ থেকে ব্রণ হয় ব্রণ ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই তৈলাক্ত ত্বকে হয়ে থাকে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে বংশগত প্রভাবে এই রোগ প্রথম দেখা দেয়। তবে তৈলাক্ত ত্বক হলেই যে সবার ব্রণ হবে তা কিন্তু নয়।

তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী, যাঁরা বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণে আক্রান্ত হননি বা হয়েছিলেন, কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা ও যতেœ সময়মতো সেরে উঠেছেন, তাঁদের সহসা মধ্যবয়সে এসে আবার ব্যাপক ব্রণের আক্রমণ ঘটতে দেখা যায়। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে থাকে অতিরিক্ত উদ্বেগ ও মানসিক চাপ। শরীরে কর্টিসল নামক একটি হরমোন লেভেল বাড়িয়ে দেয় মানসিক চাপ, এই বৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক। মানসিক উদ্বেগে কর্টিসল লেভেল বাড়বে না, এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই।

কিন্তু এই বৃদ্ধি যখন দীর্ঘকালীন হয় এবং ক্রমাগতভাবে চলতেই থাকে, তখনই ঘটে বিপত্তি। কর্টিসলের এই ক্রমাগত বৃদ্ধি মুখের তেলের গ্রন্থি বা সেবেশাস গø্যান্ডের সক্রিয়তা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়, ফলে তেলের গø্যান্ড থেকে সবটুকু তেল ত্বকের উপরিভাগে বেরিয়ে আসতে পারে না, বরং ত্বকের ভেতরেই গø্যান্ডের ভেতর আটকে গিয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। বড় বড় ব্রণের জন্ম দেয়। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস যখন দীর্ঘমেয়াদি হয়, তখনই এরকম ঘটে থাকে।
করণীয়
* মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা সার্বিকভাবে চালিয়ে যাওয়া ও তাতে সফল হওয়ার বিকল্প আর কিছু নেই।
* মানসিকভাবে প্রশান্ত থাকতে নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য মেডিটেশন অত্যন্ত উপকারী।
* নিয়ম করে প্রতিদিন এক বা একাধিকবার মেডিটেশন করা, সব সময় ইতিবাচক চিন্তাধারায় নিজের মনকে পরিচালিত করার নিরন্তর প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উপকারী।
* সুন্দর মন প্রশান্তকারী সংগীত বা সুরের মূর্ছনায় অন্তত কিছুুক্ষণ নিজের মনকে ডুবিয়ে রাখতে পারলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে এ কাজটি করতে হবে নিয়মিত ভিত্তিতে।
* এসবের পাশাপাশি উপযুক্ত সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করতে হবে। চিকিৎসা মুখে ব্রণের জন্য দরকারি ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রণ বেশি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেলে মুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ারও প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে এ ধরনের ব্রণে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত না রাখলে যে ধরনের চিকিৎসাই করা হোক না কেন, ব্রণের পুনরাবির্ভাব ঘটা মোটেই বিচিত্র নয়।

(পরামর্শ দিয়েছেন ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার)