ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ লবণের ট্রাকে ইয়াবা পাচারের মামলায় চালকের যাবজ্জীবন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় ৩০০ কোটির ক্ষতিপূরণ গুনছে ইউটিউব পুরান ঢাকাকে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিবো – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না : ক্রীড়া উপদেষ্টা বিজিবি জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে : ডিজি লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারতের প্রতিক্রিয়া

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৫:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২০০ Time View

টাঙ্গাইল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মাসউদ খান বলেছেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নেতা। যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭ সালে সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি আজীবন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে গেছেন। দেশী-বিদেশী শোষক লুঠেরাদের লুন্ঠন এর বিরুদ্ধে শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুর মানুষকে সুসংগঠিত করে অধিকার আদায়ে সোচ্চার থেকেছেন। আমাদের দেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী-শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হলে মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া খুবই প্রয়োজন।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সাহিত্য আসর কক্ষে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’র ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ও সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ মো. মাসউদ খান আরো বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ, যিনি পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো।

১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের আসসালামু আলাইকুম বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম, প্রবীণ রাজনীতিবিদ এডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, কমরেড উজ্জ্বল রায়।

ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমীন তাহমীদের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ভাসানী অনুরাসী পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ওয়েছ, বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সিলেট জেলার সভাপতি রিয়াজ আহমদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দীন, মিহির রঞ্জন দাস, রনেন সরকার রনি, নিগাত সাদিয়া, আজাদ আহমদ, মো. শাহজুল ইসলাম, রমজান আলী পুটু, মো. ইউসুফ সেলু প্রমুখ। আলোচনায় বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
Update Time : ০৫:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মাসউদ খান বলেছেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নেতা। যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭ সালে সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি আজীবন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে গেছেন। দেশী-বিদেশী শোষক লুঠেরাদের লুন্ঠন এর বিরুদ্ধে শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুর মানুষকে সুসংগঠিত করে অধিকার আদায়ে সোচ্চার থেকেছেন। আমাদের দেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী-শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হলে মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া খুবই প্রয়োজন।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সাহিত্য আসর কক্ষে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’র ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ও সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ মো. মাসউদ খান আরো বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ, যিনি পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো।

১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের আসসালামু আলাইকুম বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম, প্রবীণ রাজনীতিবিদ এডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, কমরেড উজ্জ্বল রায়।

ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমীন তাহমীদের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ভাসানী অনুরাসী পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ওয়েছ, বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সিলেট জেলার সভাপতি রিয়াজ আহমদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দীন, মিহির রঞ্জন দাস, রনেন সরকার রনি, নিগাত সাদিয়া, আজাদ আহমদ, মো. শাহজুল ইসলাম, রমজান আলী পুটু, মো. ইউসুফ সেলু প্রমুখ। আলোচনায় বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন।

নওরোজ/এসএইচ