ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড
মার্চ ফর ইউনিটি: ভোর থেকেই শুরু হয় শহীদ মিনারে মঞ্চ তৈরির কাজ

ভোর থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০২:২০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৯৪ Time View

রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ায় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এতে যোগ দিতে ভোর থেকেই শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেছে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই শুরু হয় শহীদ মিনারে মঞ্চ তৈরির কাজ। গণজমায়েতে অংশ নিতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা।

উত্তরের বিভিন্ন জেলা- পঞ্চগড়, নাটোর, সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীরা সকাল সাতটার মধ্যেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অবস্থান নেন। তাদের প্রত্যাশা- ফ্যাসিবাদবিরোধী শপথে সারাদেশের মানুষ এক হওয়ার শপথ নেবে।

এর আগে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন- আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে।

হাজারও শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিলস্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রের প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। আমাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে।

এমতাবস্থায় ছাত্র-জনতার আহবানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়পোযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘March for Unity’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

 

Please Share This Post in Your Social Media

মার্চ ফর ইউনিটি: ভোর থেকেই শুরু হয় শহীদ মিনারে মঞ্চ তৈরির কাজ

ভোর থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০২:২০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ায় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এতে যোগ দিতে ভোর থেকেই শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেছে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই শুরু হয় শহীদ মিনারে মঞ্চ তৈরির কাজ। গণজমায়েতে অংশ নিতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা।

উত্তরের বিভিন্ন জেলা- পঞ্চগড়, নাটোর, সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীরা সকাল সাতটার মধ্যেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অবস্থান নেন। তাদের প্রত্যাশা- ফ্যাসিবাদবিরোধী শপথে সারাদেশের মানুষ এক হওয়ার শপথ নেবে।

এর আগে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন- আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে।

হাজারও শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিলস্বরূপ ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ অত্যাবশ্যক ছিল। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রের প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। আমাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে।

এমতাবস্থায় ছাত্র-জনতার আহবানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়পোযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘March for Unity’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।