ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে কঠোর কর্মসূচীর হুমকি সাংবাদিকদের রায় ছিঁড়ে ক্ষমতার দাপট দেখানো সেই জেলা জজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ঢাবিতে ধূমপানে জরিমানা, গাঁজা সেবনে বহিষ্কার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল আওয়ামীলীগ – মঈন খান সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ঘুমের মধ্যে মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা   ১ হাজার টাকা কমেছে স্বর্ণের দাম বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সুন্দরী নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না: ফয়জুল করিম ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ,আগুন

ভৈরবে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১১০ Time View

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলাকে দেশের ৬৫তম জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে আটকে পড়া একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার সকাল ১০টায় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নিয়ে রেলচলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। এসময় রেলস্টেশনে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। এতে বিদেশগামী যাত্রীসহ দুর্ভোগের শিকার হয় অন্য যাত্রীরা। অবরোধ চলাকালে সিলেট থেকে আসা কালিনী ও চট্রগ্রাম থেকে আসা চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকা পড়ে।

এদিকে প্রায় দুই ঘন্টা পর রেলওয়ে স্টেশনে আটকে থাকা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনেটি ছাড়তে চাইলে পাথর নিক্ষেপ করে আবরোধকারীরা। এতে দুজন রেলওয়ে কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।

এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এর আগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয় ভৈরবের কয়েকশ মানুষ। তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে এতে ভৈরব উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের জুলাই মাসে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করেছিলেন। একই বছরের অক্টোবরে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম ও কুলিয়ারচর উপজেলা নিয়ে ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপনও জারি করে তৎকালীন সরকার। কিন্তু কিশোরগঞ্জ সদরের কিছু মহল এবং তৎকালীন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের বিরোধিতার কারণে এতদিনেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

‎এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, যতক্ষণ না ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
পাশাপাশি আগামীকাল নৌ-পথে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, ভৈরবকে জেলা করার দাবিতে গতকাল রোববার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড় এলাকায় অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দাবীত আজ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ভৈরবে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলাকে দেশের ৬৫তম জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে আটকে পড়া একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার সকাল ১০টায় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নিয়ে রেলচলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। এসময় রেলস্টেশনে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। এতে বিদেশগামী যাত্রীসহ দুর্ভোগের শিকার হয় অন্য যাত্রীরা। অবরোধ চলাকালে সিলেট থেকে আসা কালিনী ও চট্রগ্রাম থেকে আসা চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকা পড়ে।

এদিকে প্রায় দুই ঘন্টা পর রেলওয়ে স্টেশনে আটকে থাকা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনেটি ছাড়তে চাইলে পাথর নিক্ষেপ করে আবরোধকারীরা। এতে দুজন রেলওয়ে কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।

এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এর আগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয় ভৈরবের কয়েকশ মানুষ। তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে এতে ভৈরব উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের জুলাই মাসে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করেছিলেন। একই বছরের অক্টোবরে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম ও কুলিয়ারচর উপজেলা নিয়ে ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপনও জারি করে তৎকালীন সরকার। কিন্তু কিশোরগঞ্জ সদরের কিছু মহল এবং তৎকালীন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের বিরোধিতার কারণে এতদিনেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

‎এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, যতক্ষণ না ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
পাশাপাশি আগামীকাল নৌ-পথে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, ভৈরবকে জেলা করার দাবিতে গতকাল রোববার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড় এলাকায় অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দাবীত আজ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।