ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভেজাল মশার কয়েল নির্মূলের লক্ষ্যে অভিযান, চক্রের পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:০০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৪৬ Time View

ধ্বংস করা হয় নকল মশার কয়েল।

দেশের বাজারে সুপরিচিত ‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ মশার কয়েল ব্র্যান্ডের নকল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী চক্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্প্রতি বগুড়া ও ঢাকার সাভারে দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ নকল মশার কয়েল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে র‍্যাব-৪ (নবীনগর ক্যাম্প)-এর একটি দল ঢাকার সাভারের নগরকোন্ডা ও দাসপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্কোয়াড্রন লিডার মো. নাজমুল ইসলাম। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে ‘লামিয়া কনজুমার প্রোডাক্টস’ নামের প্রতিষ্ঠানের EURO মশার কয়েল কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ও অবৈধ কয়েল জব্দ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. নাহিদ ইসলাম (৩৮) নামিদামি ‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন কয়েল অবৈধভাবে নকল করে বাজারজাত করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত নকল কয়েল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নাহিদ ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তিনটি ব্র্যান্ডের নকলের অভিযোগে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় তার সহযোগী রবীন্দ্র বণিকের বিরুদ্ধেও সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এর আগে বগুড়ায় পরিচালিত অভিযানে নকল কয়েল উৎপাদনকারী মোহাম্মদ আশরাফুলকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নকল কয়েল উৎপাদন ও বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন।

আশরাফুলের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, এই চক্রে ইউরো কয়েলের মালিক নাহিদ ইসলাম, এ টু জেড কয়েলের মালিক নুরুজ্জামান, পাবনার হাফিজুর রহমান ও গাজীপুরের রবীন্দ্র বণিক জড়িত ছিলেন।

‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নকলবিরোধী অভিযান সারা দেশে অব্যাহত থাকবে। তারা নকল পণ্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং ডিলার, বিক্রেতা ও ভোক্তাদের নকল পণ্য কেনা-বেচায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ভেজাল মশার কয়েল নির্মূলের লক্ষ্যে অভিযান, চক্রের পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৬:০০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

দেশের বাজারে সুপরিচিত ‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ মশার কয়েল ব্র্যান্ডের নকল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী চক্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্প্রতি বগুড়া ও ঢাকার সাভারে দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ নকল মশার কয়েল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে র‍্যাব-৪ (নবীনগর ক্যাম্প)-এর একটি দল ঢাকার সাভারের নগরকোন্ডা ও দাসপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্কোয়াড্রন লিডার মো. নাজমুল ইসলাম। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে ‘লামিয়া কনজুমার প্রোডাক্টস’ নামের প্রতিষ্ঠানের EURO মশার কয়েল কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ও অবৈধ কয়েল জব্দ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. নাহিদ ইসলাম (৩৮) নামিদামি ‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন কয়েল অবৈধভাবে নকল করে বাজারজাত করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত নকল কয়েল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নাহিদ ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তিনটি ব্র্যান্ডের নকলের অভিযোগে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় তার সহযোগী রবীন্দ্র বণিকের বিরুদ্ধেও সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এর আগে বগুড়ায় পরিচালিত অভিযানে নকল কয়েল উৎপাদনকারী মোহাম্মদ আশরাফুলকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নকল কয়েল উৎপাদন ও বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন।

আশরাফুলের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, এই চক্রে ইউরো কয়েলের মালিক নাহিদ ইসলাম, এ টু জেড কয়েলের মালিক নুরুজ্জামান, পাবনার হাফিজুর রহমান ও গাজীপুরের রবীন্দ্র বণিক জড়িত ছিলেন।

‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নকলবিরোধী অভিযান সারা দেশে অব্যাহত থাকবে। তারা নকল পণ্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং ডিলার, বিক্রেতা ও ভোক্তাদের নকল পণ্য কেনা-বেচায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।