ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রেম: অতপর সেনাবাহিনীর হাতে আটক ট্রেনের ভাড়া ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে জামায়াত ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আইন আসছে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য ভেঙে ফেলব : নাহিদ ইসলাম এনসিপির সমাবেশে হামলা: আ.লীগের দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা করলেন লরেন ড্রেয়ার জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা ভারতে আশ্রিত আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সুযোগ হারানো যাবে না : প্রধান বিচারপতি

ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রেম: অতপর সেনাবাহিনীর হাতে আটক

কামরুল হাসান টিটু,রংপুর ব‌্যুরো
  • Update Time : ১১:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৫ Time View

সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রেম করতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আটক হয়েছে আশিক হোসেন (২৩) নামে এক যুবক। পরে সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করে ধরে নিয়ে যায় তাদের ক্যাম্পে। আটক রাজা মিয়া কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ফুলচৌকি এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে আরপিএমপি তাজহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এর আগে ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আশিক হোসেন সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে শারিরিক সম্পর্ক ও প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরির এক মেয়ের সাথে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে। সেই মেয়েসহ ঘুরতে যায় মেলায়। এক পর্যায় মেলা থেকে মেয়েকে বাগিয়ে রংপুরে নিয়ে আসে ঘুরতে। এ খবর জানার পর মেয়ের মামা নগরীর সাতমাথায় তাদের আটক করে। পরে তাদের রংপুর নগরীর শেখ পাড়ায় নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়ের মামা পরিচয় জানতে চাইলে, প্রতারক আসিক হোসেন জানান, তার নাম জাহিদ চৌধুরী, তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। পরে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে প্রতারণা ও ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয় দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর মেয়ের মামা তাকে আটক করে সেনাবাহিনীকে জানায়। পরে সেনাবাহিনী তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। এসময় তার কাছে থেকে আর্মি লেখা মানিব্যাগ ও ঘড়ি পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনী।

এ দিকে সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে ভুয়া পরিচয় দানকারী আশিক হোসেনের নামে তাজহাট থানায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রেম: অতপর সেনাবাহিনীর হাতে আটক

কামরুল হাসান টিটু,রংপুর ব‌্যুরো
Update Time : ১১:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রেম করতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আটক হয়েছে আশিক হোসেন (২৩) নামে এক যুবক। পরে সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করে ধরে নিয়ে যায় তাদের ক্যাম্পে। আটক রাজা মিয়া কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ফুলচৌকি এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে আরপিএমপি তাজহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এর আগে ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আশিক হোসেন সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে শারিরিক সম্পর্ক ও প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরির এক মেয়ের সাথে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে। সেই মেয়েসহ ঘুরতে যায় মেলায়। এক পর্যায় মেলা থেকে মেয়েকে বাগিয়ে রংপুরে নিয়ে আসে ঘুরতে। এ খবর জানার পর মেয়ের মামা নগরীর সাতমাথায় তাদের আটক করে। পরে তাদের রংপুর নগরীর শেখ পাড়ায় নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়ের মামা পরিচয় জানতে চাইলে, প্রতারক আসিক হোসেন জানান, তার নাম জাহিদ চৌধুরী, তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। পরে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে প্রতারণা ও ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয় দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর মেয়ের মামা তাকে আটক করে সেনাবাহিনীকে জানায়। পরে সেনাবাহিনী তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। এসময় তার কাছে থেকে আর্মি লেখা মানিব্যাগ ও ঘড়ি পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনী।

এ দিকে সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে ভুয়া পরিচয় দানকারী আশিক হোসেনের নামে তাজহাট থানায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।