ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিন নতুন সেনাঘাঁটি, নজর সিলিগুড়ি করিডরে

আন্তজাতিক ডেস্ক 
  • Update Time : ০২:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৩৬ Time View

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল রক্ষায় আসাম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে নতুন তিনটি সেনাঘাঁটি গড়ে তুলেছে দেশটি। বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডর।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি তিনটি নতুন সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তের ধুবড়ির কাছে বামুনি, বিহারের কিশনগঞ্জ, এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়া এলাকায় এই তিনটি নতুন ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। এগুলো ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। লক্ষ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, ঘাটতি পূরণ করা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত সিলিগুড়ি করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চীনের সীমান্তে ঘেরা এই অঞ্চল ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক করিডর হিসেবে পরিচিত।

যদিও অনেকে একে ভারতের ‘দুর্বল সংযোগপথ’ হিসেবে মনে করেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা একে দেশের “সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা করিডর” বলে আখ্যা দিয়েছেন।

বর্তমানে সুখনায় অবস্থিত ত্রি-শক্তি কর্পস (৩৩ কর্পস) এই করিডরের সার্বিক প্রতিরক্ষা তদারকি করছে। আকাশপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রাফাল যুদ্ধবিমান। এছাড়া মিগ সিরিজের বিমান ও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্টও রয়েছে এই অঞ্চলে।

ভারত এই এলাকায় উন্নত তিনস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। এতে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, ইসরায়েল ও ডিআরডিওর যৌথ উদ্যোগে তৈরি এমআরএসএএম সিস্টেম, এবং দেশীয় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এই তিনটি মিলে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা সম্ভাব্য বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা কাভারেজ দিচ্ছে ভারত।

প্রতিবেদন অনুসারে, সিলিগুড়ি করিডরে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূলত চীনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিন নতুন সেনাঘাঁটি, নজর সিলিগুড়ি করিডরে

আন্তজাতিক ডেস্ক 
Update Time : ০২:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল রক্ষায় আসাম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে নতুন তিনটি সেনাঘাঁটি গড়ে তুলেছে দেশটি। বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডর।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি তিনটি নতুন সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তের ধুবড়ির কাছে বামুনি, বিহারের কিশনগঞ্জ, এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়া এলাকায় এই তিনটি নতুন ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। এগুলো ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। লক্ষ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, ঘাটতি পূরণ করা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত সিলিগুড়ি করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চীনের সীমান্তে ঘেরা এই অঞ্চল ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক করিডর হিসেবে পরিচিত।

যদিও অনেকে একে ভারতের ‘দুর্বল সংযোগপথ’ হিসেবে মনে করেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা একে দেশের “সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা করিডর” বলে আখ্যা দিয়েছেন।

বর্তমানে সুখনায় অবস্থিত ত্রি-শক্তি কর্পস (৩৩ কর্পস) এই করিডরের সার্বিক প্রতিরক্ষা তদারকি করছে। আকাশপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রাফাল যুদ্ধবিমান। এছাড়া মিগ সিরিজের বিমান ও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্টও রয়েছে এই অঞ্চলে।

ভারত এই এলাকায় উন্নত তিনস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। এতে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, ইসরায়েল ও ডিআরডিওর যৌথ উদ্যোগে তৈরি এমআরএসএএম সিস্টেম, এবং দেশীয় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এই তিনটি মিলে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা সম্ভাব্য বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা কাভারেজ দিচ্ছে ভারত।

প্রতিবেদন অনুসারে, সিলিগুড়ি করিডরে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূলত চীনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে।