ভারতের চাল সিঙ্গাপুরের সরবরাহকারীর মাধ্যমে কিনছে সরকার
- Update Time : ০৩:৩০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৯ Time View
বাজার ‘স্থিতিশীল রাখতে’ সরকার সিঙ্গাপুরের সরবরাহকারীর মাধ্যমে ভারত থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।সোমবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, “চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, আবার কিছুটা বাড়ছে। অতএব কোনোক্রমে যেন না বাড়ে চালের দাম, সেজন্য আমরা নন-বাসমতি চাল আবার আনব।”
কোন দেশ থেকে চাল আসবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “নন-বাসমতি চালটা ভারত থেকে আসবে। এটা (মূল্য) তো প্রতিযোগিতামূলক। সরবরাহকারী কিন্তু সিঙ্গাপুরের।
“কারণ আমরা তো আর বলব না যে ভারত থেকে আনবেন না, থাইল্যান্ড থেকে আনবেন না, মিয়ানমার থেকে আনবেন না। আমরা মান, সময়মতো সরবরাহ আর দামটা দেখেছি।”
ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার সংশোধিত বাজেট করে ফেলতে চায় বলেও তিনি তুলে ধরেন।
গণভোট ও ত্রয়োদশ নির্বাচন একই দিনে হওয়ায় বাড়তি খরচ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা তো বলেছি নির্বাচনের জন্য, গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। সেখানেও তো আপনার লোকবল লাগবে, তাই না? সিকিউরিটি লাগবে।
“আমরা তো বাজেট এখন নতুন করে পর্যালোচনা করছি। কিন্তু নির্বাচনের বাজেটটা আমরা এখনও উন্মুক্ত রেখেছি। অন্য মন্ত্রণালয়ে বাজেটগুলোর একটা সময়সীমা দিয়েছি যে, এত তারিখের মধ্যে আপনারা বলে দেন। কারণ ডিসেম্বরে আমরা বাজেটটা পুনরায় পর্যালোচনা করব।”
তার ভাষ্য, “জানুয়ারিতে আমরা রেডি করে রাখব পরবর্তী যে সরকার আসছে তাদের জন্য। তো নির্বাচনের বাজেটটা সবগুলো ওপেন আছে।
“নির্বাচনেরটা আমার মনে হয় তফসিল ঘোষণার, পর বোধহয় ওরা আর নতুন করে কোনো খরচ দেবে না। কন্টিউন্সি খরচ থাকতে পারে, তাই না? ইমার্জেন্সি খরচ থাকতে পারে। সেটা তো করা যাবে, সেটা তাদেরও কিছু ফান্ড আছে। অতএব নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা করার দরকার নাই।”
গণভোট ও নির্বাচন একদিনে করা ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে মানলেন উপদেষ্টা, তবে একই দিনে করার পক্ষে তার মত।
বলেন, “এইটা আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জ হলেও এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে হবে। একই দিনে করা, তাই না? যেটা সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। যেটা প্রধান উপদেষ্টা বলে দিয়েছেন, এক দিনে করা।
“কারণ দুই দিন করা মানে এত এনটায়ার জিনিস, রিটার্নিং অফিসার মোবিলাইজ করা, আপনি জানেন এটা খুব সোজা কাজ না। ইভেন কিছু কিছু ব্যাংকের অফিসার, জুনিয়র অফিসার, তারাও তো ডিউটিতে যাবে, স্কুলের টিচাররা যাবে। দুই দিন নিয়ে আসবেন তাদেরকে, এগুলো কঠিন।”
অনেক দেশেই একই দিনে হয় তুলে ধরে বলেন, “পৃথিবীর অনেক দেশেই এরকম হয় তো; তাই না? আপনার রেফারেন্ডাম আর সে ভোট তো এক দিনেই হয় অনেক দেশে। এতে অসুবিধা হওয়ার কোনো কারণ নেই।
“লজিস্টিক্যালি আমার মনে হয় একবারে করা বেটার এবং এটা সহজেই সুষ্ঠুভাবে করা যেতে পারে।”
এদিন সার, পরিশোধিত তেল কেনা ও তিনটি সড়ক করার সিদ্ধান্ত হয় এ বৈঠকে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়







































































































































































































