ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দাবি শেহবাজ শরিফের

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ৬ Time View

পাকিস্তানের কামরায় পিএএফ ঘাঁটিতে সিওএএস জেনারেল আসিম মুনির, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, বিমান বাহিনী প্রধান জহির আহমেদ বাবর সিধু। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান আরও একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। চলতি মাসের ৬ থেকে ৭ মে রাতের কোনো এক সময় কাশ্মীরের শ্রীনগরের পূর্বাঞ্চলীয় পামপুর এলাকায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেট ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই দাবি করেন।

এ নিয়ে পাকিস্তান মোট ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করল। এর আগে দেশটি রাফাল, মিগ-২৯ ও এসইউ-৩০ মডেলের মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল।

শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘এই ঘটনা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অসাধারণ যুদ্ধ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলা হয়, কামরায় ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী পাইলট, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব, নিখুঁত দক্ষতা ও জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

শেহবাজ বলেন, ‘ভারতের অকারণ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের দ্রুত ও পরিকল্পিত জবাব শুধু হুমকিটিকে নিরসনই করেনি, বরং শত্রুপক্ষের সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে। এটি প্রমাণ করেছে—দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি অটুট।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সতর্কতা ও সাহসিকতায় পুরো জাতি গর্বিত। আবারও প্রমাণ হয়েছে—পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য এবং যেকোনো আগ্রাসনের জবাব কঠোর, সময়োপযোগী ও নির্দয়ভাবে দেওয়া হবে।’

তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকীর নেতৃত্বেও সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে বাহিনীর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাহসী পাইলট ও নিবেদিত কর্মীদের নিখুঁত দক্ষতা এবং সাহসিকতা পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর অপরাজেয় চেতনার প্রতিফলন। তোমরা আমাদের আকাশের মর্যাদা রক্ষা করেছ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছ।’

শাহবাজ আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার ও জনগণ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বাহিনী দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত। যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে সময়মতো, সঠিকভাবে ও নির্ণায়কভাবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ, সজাগ ও অবিচল।’

এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নবীদ আশরাফ। প্রধানমন্ত্রী পিএএফ-এর সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং গ্রহণ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দাবি শেহবাজ শরিফের

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৯:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

পাকিস্তান আরও একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। চলতি মাসের ৬ থেকে ৭ মে রাতের কোনো এক সময় কাশ্মীরের শ্রীনগরের পূর্বাঞ্চলীয় পামপুর এলাকায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেট ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই দাবি করেন।

এ নিয়ে পাকিস্তান মোট ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করল। এর আগে দেশটি রাফাল, মিগ-২৯ ও এসইউ-৩০ মডেলের মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল।

শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘এই ঘটনা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অসাধারণ যুদ্ধ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলা হয়, কামরায় ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী পাইলট, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব, নিখুঁত দক্ষতা ও জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

শেহবাজ বলেন, ‘ভারতের অকারণ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের দ্রুত ও পরিকল্পিত জবাব শুধু হুমকিটিকে নিরসনই করেনি, বরং শত্রুপক্ষের সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে। এটি প্রমাণ করেছে—দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি অটুট।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সতর্কতা ও সাহসিকতায় পুরো জাতি গর্বিত। আবারও প্রমাণ হয়েছে—পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য এবং যেকোনো আগ্রাসনের জবাব কঠোর, সময়োপযোগী ও নির্দয়ভাবে দেওয়া হবে।’

তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকীর নেতৃত্বেও সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে বাহিনীর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাহসী পাইলট ও নিবেদিত কর্মীদের নিখুঁত দক্ষতা এবং সাহসিকতা পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর অপরাজেয় চেতনার প্রতিফলন। তোমরা আমাদের আকাশের মর্যাদা রক্ষা করেছ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছ।’

শাহবাজ আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার ও জনগণ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বাহিনী দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত। যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে সময়মতো, সঠিকভাবে ও নির্ণায়কভাবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ, সজাগ ও অবিচল।’

এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নবীদ আশরাফ। প্রধানমন্ত্রী পিএএফ-এর সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং গ্রহণ করেন।