ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

ভাঙ্গায় তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার এলাকাবাসীর

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ Time View

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাকে বিভক্ত করে আলগী ও হামিদী ইউনিয়নকে নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহন আটকে যায়, সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের দাবির প্রতি সহমত জানান।

তিনি জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আবারও অনুরোধ জানানো হবে। এসময় তিনি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

সড়ক অবরোধ চার ঘণ্টা পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এলাকাবাসী।

আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক এবং সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, দুপুর ১২টার দিকে ভাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তিনি আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যেই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও অনুরোধ জানাবেন যাতে ভাঙ্গাকে বিভক্ত করা না হয়।

এক পর্যায়ে ইউএনও মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অবরোধকারীদের অবরোধ প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান।

আন্দোলনকারীদের একজন ভাঙ্গার হামিরদীর বাসিন্দা কাজী আরিফ বলেন, ইউএনওর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। তবে আমরা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি—আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমাদের ভাঙ্গার বিভাজন রোধ করা না হলে পুনরায় কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, ভাঙ্গাবাসীর দাবির প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল। ভাঙ্গা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। এ বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বিভাজন রোধ করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, অবরোধকারীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দুটি মহাসড়কের অন্তত পাঁচটি জায়গায় অবরোধ করে। অবরোধের কারণে ওই দুটি মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবরোধকারীরা কোনো সহিংসতা কিংবা আইনশৃঙ্খলা অবনতির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

ভাঙ্গায় তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার এলাকাবাসীর

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাকে বিভক্ত করে আলগী ও হামিদী ইউনিয়নকে নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহন আটকে যায়, সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের দাবির প্রতি সহমত জানান।

তিনি জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আবারও অনুরোধ জানানো হবে। এসময় তিনি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

সড়ক অবরোধ চার ঘণ্টা পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এলাকাবাসী।

আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক এবং সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, দুপুর ১২টার দিকে ভাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তিনি আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যেই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও অনুরোধ জানাবেন যাতে ভাঙ্গাকে বিভক্ত করা না হয়।

এক পর্যায়ে ইউএনও মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অবরোধকারীদের অবরোধ প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান।

আন্দোলনকারীদের একজন ভাঙ্গার হামিরদীর বাসিন্দা কাজী আরিফ বলেন, ইউএনওর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। তবে আমরা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি—আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমাদের ভাঙ্গার বিভাজন রোধ করা না হলে পুনরায় কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, ভাঙ্গাবাসীর দাবির প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল। ভাঙ্গা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। এ বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বিভাজন রোধ করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, অবরোধকারীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দুটি মহাসড়কের অন্তত পাঁচটি জায়গায় অবরোধ করে। অবরোধের কারণে ওই দুটি মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবরোধকারীরা কোনো সহিংসতা কিংবা আইনশৃঙ্খলা অবনতির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি।