ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচার বিভাগের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • / ২১ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচার বিভাগের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার সুমি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়নের এ মতবিনিময় সভায় দিক নির্দেশনামুল বক্তব্যে রাখেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ, লিগ্যাল এইড অফিসার রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি, মোঃ তাজুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ রেজাউল হক, সহকারী জজ মোহাম্মদ শাহেদুল আলম, সহকারী জজ মোঃ মুসতানসীর।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্যে রাখেন মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আল আমিন, মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হোসেন, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, সুহিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রশিদ, নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সোহাগ রানা প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, রাকিবুল হাসান রকি, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান সেলিম, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল জব্বার, মনিরুল ইসলাম, আতিকুর রহমান প্রমুখ।

জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার সুমি বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত প্রণয়ন করে এবং ২০০৬ সালে উক্ত অধ্যাদেশ বাতিল নতুন ভাবে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ প্রণীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে উক্ত আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে আরো যুগোপযোগী করে এবং ২০১৬ সালে উক্ত আইনের ফলপ্রসু প্রয়োগের জন্য একটি বিস্তৃত ও কার্যকর বিধিমালা প্রণয়ন করে।

বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত গ্রাম আদালত ব্যবস্থা বিরোধ নিস্পত্তির একটি আধা-আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রামের জনসাধারণ, বিশেষ করে নারী,দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, ছোটখাট বিরোধ বিরোধ স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে মীমাংসা করার সুযোগ পাবে। দেশের আনুষ্ঠানিক আদালত বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলা চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্ত থেকে সাধারণ জনগন বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগন বঞ্চিত হচ্ছে।

সরকার বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দারিদ্র ও দারিদ্র ও অসহায় জনগনের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও দ্রুত নিশ্চিত করতে ছোটখাট বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির ধারণা ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে এবং তারাই ধারাবাহিকতায় সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকরভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরুত্বারোপ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচার বিভাগের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৯:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচার বিভাগের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার সুমি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়নের এ মতবিনিময় সভায় দিক নির্দেশনামুল বক্তব্যে রাখেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ, লিগ্যাল এইড অফিসার রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি, মোঃ তাজুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ রেজাউল হক, সহকারী জজ মোহাম্মদ শাহেদুল আলম, সহকারী জজ মোঃ মুসতানসীর।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্যে রাখেন মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আল আমিন, মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হোসেন, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, সুহিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রশিদ, নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সোহাগ রানা প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, রাকিবুল হাসান রকি, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান সেলিম, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল জব্বার, মনিরুল ইসলাম, আতিকুর রহমান প্রমুখ।

জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার সুমি বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত প্রণয়ন করে এবং ২০০৬ সালে উক্ত অধ্যাদেশ বাতিল নতুন ভাবে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ প্রণীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে উক্ত আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে আরো যুগোপযোগী করে এবং ২০১৬ সালে উক্ত আইনের ফলপ্রসু প্রয়োগের জন্য একটি বিস্তৃত ও কার্যকর বিধিমালা প্রণয়ন করে।

বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত গ্রাম আদালত ব্যবস্থা বিরোধ নিস্পত্তির একটি আধা-আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রামের জনসাধারণ, বিশেষ করে নারী,দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, ছোটখাট বিরোধ বিরোধ স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে মীমাংসা করার সুযোগ পাবে। দেশের আনুষ্ঠানিক আদালত বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলা চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্ত থেকে সাধারণ জনগন বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগন বঞ্চিত হচ্ছে।

সরকার বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দারিদ্র ও দারিদ্র ও অসহায় জনগনের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও দ্রুত নিশ্চিত করতে ছোটখাট বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির ধারণা ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে এবং তারাই ধারাবাহিকতায় সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকরভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরুত্বারোপ করছে।