ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাইদুর হত্যা মামলায় ৩ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

- Update Time : ০৪:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৪৬ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চাঞ্চল্যকর ফল ব্যবসায়ী মো. সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: মো. রাসেল মিয়া (২৬) ও রিপন মিয়া (২৮) ও মো. কাজল মিয়া (৪৫)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মামলার অপর আসামি রাসেল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এ দিকে এই রায়ের মধ্যদিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আউলাদ হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মো. আজাদ মিয়া।
তারা জানান, এই রায়ের মধ্যদিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে সমাজে এ ধরনের খুন খারাপি বন্ধে এ রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মোশারফ হোসেন সামি জানান, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি বাদীপক্ষ। তাই এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরে বাহেরচর লঞ্চঘাট এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইদুর রহমানকে হত্যা করা হয়। সাঈদুর রহমান বাঞ্ছারামপুর করইকান্দি ফেরিঘাট এলাকায় ফলের ব্যবসা করতেন।
পরে এ ঘটনায় নিহতের সম্বন্ধী মো. লোকমান মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার দুদিন পর ওই বছরের ১ অক্টোবর মো. রাসেল মিয়াকে প্রধান আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুই আসামির সম্পৃক্ততা পেয়ে তাদেরও গ্রেফতার করেন।
পরে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী অফিসার মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করে তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করে। পরে আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।