ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১০২ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) শিক্ষার্থীরা নিয়োগবিধি সংশোধন ও দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাসিরনগর-সরাইল-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কসহ আইএলএসটি ক্যাম্পাসের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষ জনবল গড়তে সরকার ২০১৬ সালে ‘আইএলএসটি স্থাপন প্রকল্প’-এর আওতায় দেশের দুটি প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৫টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়। বর্তমানে মোট ৭টি আইএলএসটিতে চলছে ‘ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক’ কোর্স। এসএসসি পাসের পর শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় এই চার বছর মেয়াদি কোর্সে। তত্ত্ব, ল্যাবরেটরি, মাঠ প্রশিক্ষণ—সব মিলিয়ে তারা তৈরি হয় বাস্তব কাজে দক্ষ জনবল হিসেবে। কিন্তু চার বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা এখন বেকার। কারণ, নতুন নিয়োগবিধিমালায় তাদের জন্য কোনো পদ রাখা হয়নি।

২০২৩ সালের আগস্টে ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি এমদাদুল হক তালুকদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাঠপর্যায়ের সাব-টেকনিক্যাল পদে—যেমন ইউএলএ, ভিএফএ, এআই/এফএ, ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডার বা পোল্ট্রি টেকনিশিয়ান পদে ডিপ্লোমাধারীরাই নিয়োগ পাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে পুরোনো নিয়োগবিধি অনুযায়ী আবারও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী হামিম আহমেদ বলেন, আমরা সেই প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। এখন দেখা যাচ্ছে, কথা রাখেনি অধিদপ্তর। অথচ চার বছর ধরে হাতে-কলমে টেকনিক্যাল শিক্ষা নিয়েছি। আর এখন বলা হচ্ছে, এই ডিগ্রির কোনো মূল্য নেই। এটি নিছক অন্যায় নয়, একটি শিক্ষিত প্রজন্ম ধ্বংসের পরিকল্পনা ও স্পষ্ট প্রতারণা।

নাসিরনগর আইএলএসটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুবোধ কুমার দাস বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহেল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) শিক্ষার্থীরা নিয়োগবিধি সংশোধন ও দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাসিরনগর-সরাইল-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কসহ আইএলএসটি ক্যাম্পাসের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষ জনবল গড়তে সরকার ২০১৬ সালে ‘আইএলএসটি স্থাপন প্রকল্প’-এর আওতায় দেশের দুটি প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৫টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়। বর্তমানে মোট ৭টি আইএলএসটিতে চলছে ‘ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক’ কোর্স। এসএসসি পাসের পর শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় এই চার বছর মেয়াদি কোর্সে। তত্ত্ব, ল্যাবরেটরি, মাঠ প্রশিক্ষণ—সব মিলিয়ে তারা তৈরি হয় বাস্তব কাজে দক্ষ জনবল হিসেবে। কিন্তু চার বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা এখন বেকার। কারণ, নতুন নিয়োগবিধিমালায় তাদের জন্য কোনো পদ রাখা হয়নি।

২০২৩ সালের আগস্টে ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি এমদাদুল হক তালুকদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাঠপর্যায়ের সাব-টেকনিক্যাল পদে—যেমন ইউএলএ, ভিএফএ, এআই/এফএ, ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডার বা পোল্ট্রি টেকনিশিয়ান পদে ডিপ্লোমাধারীরাই নিয়োগ পাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে পুরোনো নিয়োগবিধি অনুযায়ী আবারও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী হামিম আহমেদ বলেন, আমরা সেই প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। এখন দেখা যাচ্ছে, কথা রাখেনি অধিদপ্তর। অথচ চার বছর ধরে হাতে-কলমে টেকনিক্যাল শিক্ষা নিয়েছি। আর এখন বলা হচ্ছে, এই ডিগ্রির কোনো মূল্য নেই। এটি নিছক অন্যায় নয়, একটি শিক্ষিত প্রজন্ম ধ্বংসের পরিকল্পনা ও স্পষ্ট প্রতারণা।

নাসিরনগর আইএলএসটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুবোধ কুমার দাস বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহেল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।