বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ফারুক হত্যা মামলার আসামী জবির ৭ ছাত্রলীগ নেতা

- Update Time : ০৮:৩২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৫২ Time View
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার এলাকায় কবি নজরুল কলেজের ছাত্র ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার দায়ের করা হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারন সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনসহ জবি ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
বাকি আসামিরা হলেন- জবি ছাত্রলীগের ১ নং সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম সানিম, সহ সভাপতি আবুল হোসেন পরাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত সাঈদ ও জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম।
এছাড়া জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলামের ভাই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ির একসময় দায়িত্বে থাকা আলোচিত পুলিশ উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন নিহত কলেজছাত্রের মা কুলছুমা আক্তার। এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সূত্রাপুর থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ জুলাই জবি নজরুল সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক কলেজের মূল গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এসময় বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আসামিরা ওমর ফারুকের বুকে পিঠে একাধিক গুলি করে। হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।