‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের এখনও চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে’

- Update Time : ০৪:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৭২ Time View
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার প্রকৃত রূপ রহস্যে ঘেরা। প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনও চিহ্নিত করার সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্ত স্বাধীন দেশ পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে জাতি তাদের অবদানের কথা স্মরণ করবে। ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করল? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আজও জাতির সামনে তা তুলে ধরা হয়নি। যারা দেশকে বন্দুকের নলে লিজ দিতে চেয়েছিল এবং বিদেশি আগ্রাসনের এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায় রয়েছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাংবাদিক ও চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের নিখোঁজের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লড়াই সংগ্রাম ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনার ডকুমেন্টারি গবেষণার কাজে হাত দিয়েছিলেন। বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে গিয়ে হত্যার কারণ, তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন তিনি। জাতি ভেবেছিল জহির রায়হানের এই ডকুমেন্টারি প্রকাশ হলে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। কিন্তু জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না। তাই আজও রাজনীতি ও জাতি নিয়ে যারা চিন্তা করেন তাদের কাছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড রহস্য ঘেরা। তার ডকুমেন্টারি কোথায় আজও জানা যায়নি।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি, ইকোনমিক, সামরিক অবকাঠামোর স্বার্থের চেয়ে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ অনেক বেশি। যেসব প্রকল্প অনেক বড় সেগুলো বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে লাভ হবে ভারতের আর কাজটা করাবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি, পদক্ষেপ, ব্যবসা-বাণিজ্য এই ৫৩ বছরে করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
নওরোজ/এসএইচ