ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুটেক্সে বাঁধনের নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

নিয়ামুল ইসলাম তামিম , বুটেক্স প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২১ Time View

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঁধন, বুটেক্স ইউনিট (ঢাকা উত্তর জোন) আয়োজিত “নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা ২০২৫”।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই বর্ণাঢ্য আয়োজন। “একজনের রক্ত অন্যের জীবন — রক্তই হোক আত্মার বাঁধন” এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নতুন সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় এবং বিদায়ী ৪৭তম ব্যাচের রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন, আইটিইটির সদস্য সচিব ইঞ্জি. মো. এনায়েত হোসেন, আইটিইটির সাবেক মহাসচিব ইন্জি. এ কে এম মহসিন আহমেদ, বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাবেক বাঁধনকর্মী এবং নতুন ও পুরাতন সদস্যরা।

অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টায় অতিথি গ্রহণ ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর অতিথিদের বক্তব্য, স্মারক প্রদান করা হয়। ডোনার সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী পর্বে নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।

আইটিইটির সদস্য সচিব ইঞ্জি. মো. এনায়েত হোসেন বলেন, “বুটেক্স বাঁধন ইউনিট যেভাবে একাত্মতা ও মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা সবাইকে সম্মিলিত করে টেক্সটাইল পরিবারের জন্য সবসময় রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়, যা একটি মহৎ উদ্যোগ। তাদের এই কাজকে আমরা আইটিইটি থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব। নবীন ভাইদের জন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা—আমাদের দরজা তোমাদের জন্য সবসময় খোলা থাকবে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, “বাঁধন এমন একটি সংগঠন, যা সরাসরি আমাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত। প্রথমেই আমি বাঁধনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পুরো কমিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এমন একটি সুন্দর ও মানবিক আয়োজন করার জন্য। তারা শুধু রক্তদানেই সীমাবদ্ধ নয়—নতুন শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় থেকে শুরু করে নিজেরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাঁধনের এই কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে।”

বাঁধন বুটেক্স ইউনিটের সভাপতি হিমেল রায় বলেন, “বাঁধন সবসময় মানবতার সেবায় নিবেদিত একটি সংগঠন। রক্তদানের মাধ্যমে অন্যের জীবন বাঁচানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি নতুনদের মানবসেবায় উদ্বুদ্ধ করা এবং পুরোনোদের ত্যাগ ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক আন্তরিক প্রচেষ্টা। আমি আশা করি, আমাদের নতুন সদস্যরা বাঁধনের এই ঐতিহ্য ও মানবতার চেতনাকে আরও শক্তিশালী করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

সাধারণ সম্পাদক নাইম উদ্দিন তৌকির বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা আয়োজন করেছি নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এ বছর আমরা আনন্দের সঙ্গে ৫০তম ব্যাচের নবীন সদস্যদের বরণ করে নিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের মূল শক্তি ও গর্ব—নিয়মিত রক্তদাতা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেছি। তাদের এই নিঃস্বার্থ মানবসেবাই বাঁধনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও অনুপ্রেরণাদায়ক করে তুলবে বলে আমি আশা করি।”

রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ব্যান্ড সংগীতের মধ্য দিয়ে আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

বুটেক্সে বাঁধনের নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

নিয়ামুল ইসলাম তামিম , বুটেক্স প্রতিনিধি
Update Time : ১২:৪১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঁধন, বুটেক্স ইউনিট (ঢাকা উত্তর জোন) আয়োজিত “নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা ২০২৫”।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই বর্ণাঢ্য আয়োজন। “একজনের রক্ত অন্যের জীবন — রক্তই হোক আত্মার বাঁধন” এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নতুন সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় এবং বিদায়ী ৪৭তম ব্যাচের রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন, আইটিইটির সদস্য সচিব ইঞ্জি. মো. এনায়েত হোসেন, আইটিইটির সাবেক মহাসচিব ইন্জি. এ কে এম মহসিন আহমেদ, বাঁধন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাবেক বাঁধনকর্মী এবং নতুন ও পুরাতন সদস্যরা।

অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টায় অতিথি গ্রহণ ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর অতিথিদের বক্তব্য, স্মারক প্রদান করা হয়। ডোনার সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী পর্বে নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।

আইটিইটির সদস্য সচিব ইঞ্জি. মো. এনায়েত হোসেন বলেন, “বুটেক্স বাঁধন ইউনিট যেভাবে একাত্মতা ও মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা সবাইকে সম্মিলিত করে টেক্সটাইল পরিবারের জন্য সবসময় রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়, যা একটি মহৎ উদ্যোগ। তাদের এই কাজকে আমরা আইটিইটি থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব। নবীন ভাইদের জন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা—আমাদের দরজা তোমাদের জন্য সবসময় খোলা থাকবে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, “বাঁধন এমন একটি সংগঠন, যা সরাসরি আমাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত। প্রথমেই আমি বাঁধনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পুরো কমিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এমন একটি সুন্দর ও মানবিক আয়োজন করার জন্য। তারা শুধু রক্তদানেই সীমাবদ্ধ নয়—নতুন শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় থেকে শুরু করে নিজেরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাঁধনের এই কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে।”

বাঁধন বুটেক্স ইউনিটের সভাপতি হিমেল রায় বলেন, “বাঁধন সবসময় মানবতার সেবায় নিবেদিত একটি সংগঠন। রক্তদানের মাধ্যমে অন্যের জীবন বাঁচানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি নতুনদের মানবসেবায় উদ্বুদ্ধ করা এবং পুরোনোদের ত্যাগ ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক আন্তরিক প্রচেষ্টা। আমি আশা করি, আমাদের নতুন সদস্যরা বাঁধনের এই ঐতিহ্য ও মানবতার চেতনাকে আরও শক্তিশালী করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

সাধারণ সম্পাদক নাইম উদ্দিন তৌকির বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা আয়োজন করেছি নবীনবরণ ও ডোনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এ বছর আমরা আনন্দের সঙ্গে ৫০তম ব্যাচের নবীন সদস্যদের বরণ করে নিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের মূল শক্তি ও গর্ব—নিয়মিত রক্তদাতা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেছি। তাদের এই নিঃস্বার্থ মানবসেবাই বাঁধনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও অনুপ্রেরণাদায়ক করে তুলবে বলে আমি আশা করি।”

রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ব্যান্ড সংগীতের মধ্য দিয়ে আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটে।