ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে লোকপ্রশাসন অন্তর্ভুক্তির দাবিতে জাককানইবিতে মানববন্ধন

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি
  • Update Time : ০৯:১০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৩ Time View

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারে লোকপ্রশাসন বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন। তারা হাতে নেন বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড ও ফেস্টুন,যেমন “NTRCA open the door for Public Administration”, “পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পড়ে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নাইরে” প্রভৃতি।

মানববন্ধনে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পাভেল অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশে ১৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন পড়ানো হলেও সার্ভিস সেক্টরে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তাই সরকারের কাছে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান তিনি।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, লোকপ্রশাসন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তবু এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার নাদিরুজ্জামান ইমন বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পৌরনীতির পাঠ্যবিষয়গুলোর বড় অংশই লোকপ্রশাসনে পড়ানো হয়। অথচ ইকোনোমিক্স, সোশিয়োলজি পড়া শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও আমরা পারি না। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেও চাকরির বাজারে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।”

প্রতি বছর প্রায় হাজার শিক্ষার্থী দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করলেও তারা বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে আলাদা কোনো প্রাধান্য পান না, স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতার সুযোগও পান না এমন মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল আহমেদ। তিনি বলেন, “সোশ্যাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধিকাংশ বিষয়ই আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়েন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, লোকপ্রশাসন থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা অনায়াসে স্কুল পর্যায়ে পৌরনীতি এবং কলেজ পর্যায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতে পারবেন। রাষ্ট্রের উচিত মেধাবী এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে সুযোগ করে দেওয়া এবং পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডারে আলাদা সুযোগ রাখা। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া উচিত।”

মানববন্ধনে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুর রহমান শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে লোকপ্রশাসন অন্তর্ভুক্তির দাবিতে জাককানইবিতে মানববন্ধন

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি
Update Time : ০৯:১০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারে লোকপ্রশাসন বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন। তারা হাতে নেন বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড ও ফেস্টুন,যেমন “NTRCA open the door for Public Administration”, “পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পড়ে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নাইরে” প্রভৃতি।

মানববন্ধনে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পাভেল অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশে ১৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন পড়ানো হলেও সার্ভিস সেক্টরে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তাই সরকারের কাছে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান তিনি।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, লোকপ্রশাসন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তবু এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার নাদিরুজ্জামান ইমন বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পৌরনীতির পাঠ্যবিষয়গুলোর বড় অংশই লোকপ্রশাসনে পড়ানো হয়। অথচ ইকোনোমিক্স, সোশিয়োলজি পড়া শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও আমরা পারি না। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেও চাকরির বাজারে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।”

প্রতি বছর প্রায় হাজার শিক্ষার্থী দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করলেও তারা বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে আলাদা কোনো প্রাধান্য পান না, স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতার সুযোগও পান না এমন মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল আহমেদ। তিনি বলেন, “সোশ্যাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধিকাংশ বিষয়ই আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়েন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, লোকপ্রশাসন থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা অনায়াসে স্কুল পর্যায়ে পৌরনীতি এবং কলেজ পর্যায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতে পারবেন। রাষ্ট্রের উচিত মেধাবী এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে সুযোগ করে দেওয়া এবং পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডারে আলাদা সুযোগ রাখা। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া উচিত।”

মানববন্ধনে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুর রহমান শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।