ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রংপুরে সমাবেশ

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৯:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ১৯ Time View
দ্রুততম সময়ে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগসহ ৩ দফা দাবি

পরিবেশ, জীবন-জীবিকা ও শ্রম-অধিকার এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার ভিত্তিতে ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত, পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ও অন্যান্য প্রতারণামূলক বিনিয়োগ বন্ধ এবং দ্রুততম সময়ে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি জানিয়েছেন রংপুরের সুধি সমাজ।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ জুন) রংপুর নগরীর পার্কের মোড়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডবলুজিইডি) উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং ডপস’র যৌথ উদ্যোগে সচেতনতামূলক এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রার গড় বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা। কিন্ত এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যে পর্যায়ে সীমিত রাখা দরকার, বর্তমানে বিশ্ব তার চেয়ে ১২০ শতাংশ বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পথে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না-হলে জলবায়ুতে যে পরিবর্তন আসবে, তা ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ এমনিতেই বিশ্ব পরিবেশ দূষণের অন্যতম শিকার।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন ও ব্যবহার। জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ তেল, গ্যাস ও কয়লা ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের বিশাল এলাকা আজ সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত জ্বালানি তেল ব্যবহার, পরিবেশকে আরো দূষিত করতে পারে। এছাড়া স্থানীয় পরিবেশ ও জীবন-জীবিকার ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে।

পরিবেশ সংগঠকরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রী পরিষদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথনকশা অনমুমোদন করেছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশও ২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়ন যোগ জ্বালানি নিশ্চিত করবে । এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও নীতিগত সহায়তা দরকার।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আদিরাসী নেতা আলাল সিং, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় যুব সংগঠনের নেতা আফজাল, প্রকল্প কর্মকর্তা সুবল মুখাজ্জী, ডপস’র নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রংপুরে সমাবেশ

Update Time : ০৯:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
দ্রুততম সময়ে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগসহ ৩ দফা দাবি

পরিবেশ, জীবন-জীবিকা ও শ্রম-অধিকার এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার ভিত্তিতে ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত, পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ও অন্যান্য প্রতারণামূলক বিনিয়োগ বন্ধ এবং দ্রুততম সময়ে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি জানিয়েছেন রংপুরের সুধি সমাজ।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ জুন) রংপুর নগরীর পার্কের মোড়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডবলুজিইডি) উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং ডপস’র যৌথ উদ্যোগে সচেতনতামূলক এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রার গড় বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা। কিন্ত এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যে পর্যায়ে সীমিত রাখা দরকার, বর্তমানে বিশ্ব তার চেয়ে ১২০ শতাংশ বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পথে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না-হলে জলবায়ুতে যে পরিবর্তন আসবে, তা ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ এমনিতেই বিশ্ব পরিবেশ দূষণের অন্যতম শিকার।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন ও ব্যবহার। জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ তেল, গ্যাস ও কয়লা ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের বিশাল এলাকা আজ সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত জ্বালানি তেল ব্যবহার, পরিবেশকে আরো দূষিত করতে পারে। এছাড়া স্থানীয় পরিবেশ ও জীবন-জীবিকার ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে।

পরিবেশ সংগঠকরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রী পরিষদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথনকশা অনমুমোদন করেছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশও ২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়ন যোগ জ্বালানি নিশ্চিত করবে । এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও নীতিগত সহায়তা দরকার।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আদিরাসী নেতা আলাল সিং, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় যুব সংগঠনের নেতা আফজাল, প্রকল্প কর্মকর্তা সুবল মুখাজ্জী, ডপস’র নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।