ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের বিপজ্জনক ৫ নদীতে নামলেই মৃত্যু

নওরোজ ফিচার ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:২২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৫৪ Time View

পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগের বেশিই পানি। বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় নদী। যেগুলোর সৌন্দর্য আকর্ষণ করে মানুষকে। কিন্তু কাছে গেলে মৃত্যুও হতে পারে। এতে আছে ভয়ংকর সব জলজ প্রাণী। আবার ফুটন্ত নদীও রয়েছে বিশ্বে। সোনা-রূপা-তামার খনি দিয়ে বয়ে চলা নদীর জল মারাত্মক বিষাক্ত।

জেনে নিন এমনই ৫ নদীর সম্পর্কে…

লা বোম্বা
পেরুর লা বোম্বা নদীর জল আবার ফুটন্ত। সারাবছর এর তাপমাত্রা থাকা ৪৫ থেকে ১০০ ডিগ্রি। এটি প্রকৃতপক্ষে আমাজন নদীর একটি উপনদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬.৪ কিলোমিটার। উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে নদীটির উৎপত্তি হওয়ায় নদীর জল সব সময় গরম থাকে। মাঝে মধ্য়েই নদীর উপর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। হটবাথ নেওয়ার কথা মাথায় এলে এখনই তা ঝেড়ে ফেলুন। লা বোম্বার পানিতে হাত দেওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

নীল নদ
মিশরের নীল নদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী। আফ্রিকার মোট ১১টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে যা পড়েছে ভূমধ্যসাগরে। এই নদীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় কুমির। যার আক্রমণে প্রতি বছর গড়ে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া নদীতে রয়েছে একাধিক শিকারি প্রাণী। নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে বিষাক্ত সাপ ও মশার উপদ্রব।

লাল নদী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাল নদী দেখতে যতটাই সুন্দর, ততটাই বিপজ্জনক। যখন তখন গতিপথ বদলে যায় এই নদীর। ফলে আশপাশের গোটা এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে যায় রেড রিভার। এছাড়া এই নদীতে রয়েছে বহু বিপজ্জনক জলজ প্রাণী।

কঙ্গো
আফ্রিকার কঙ্গো নদী বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম নদী। কিছু কিছু জায়গায় এর গভীরতা ৭২০ ফুট। সেখানে নদীর তলদেশে পৌঁছায় না সূর্যালোক। নদীটির উপরের অংশ ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপ। আবার নদীটির নীচের অংশ রয়েছে ডুবন্ত পাহাড়, খাদ ও ঝরনা।

রিও টিন্টো
স্পেনের রিও টিন্টো নদী একাধিক সোনা, রূপা ও তামার খনির মধ্য়ে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সেই কারণে নদীটির পানির রং রক্তের মতো লাল। এই নদীর জল মারাত্মক বিষাক্ত। হাতে গোটা কয়েকটি প্রাণী সেই পানি পান করে বেঁচে থাকতে পারে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি ও চিনের পীত নদী।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

Please Share This Post in Your Social Media

বিশ্বের বিপজ্জনক ৫ নদীতে নামলেই মৃত্যু

নওরোজ ফিচার ডেস্ক
Update Time : ০৬:২২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগের বেশিই পানি। বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় নদী। যেগুলোর সৌন্দর্য আকর্ষণ করে মানুষকে। কিন্তু কাছে গেলে মৃত্যুও হতে পারে। এতে আছে ভয়ংকর সব জলজ প্রাণী। আবার ফুটন্ত নদীও রয়েছে বিশ্বে। সোনা-রূপা-তামার খনি দিয়ে বয়ে চলা নদীর জল মারাত্মক বিষাক্ত।

জেনে নিন এমনই ৫ নদীর সম্পর্কে…

লা বোম্বা
পেরুর লা বোম্বা নদীর জল আবার ফুটন্ত। সারাবছর এর তাপমাত্রা থাকা ৪৫ থেকে ১০০ ডিগ্রি। এটি প্রকৃতপক্ষে আমাজন নদীর একটি উপনদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬.৪ কিলোমিটার। উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে নদীটির উৎপত্তি হওয়ায় নদীর জল সব সময় গরম থাকে। মাঝে মধ্য়েই নদীর উপর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। হটবাথ নেওয়ার কথা মাথায় এলে এখনই তা ঝেড়ে ফেলুন। লা বোম্বার পানিতে হাত দেওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

নীল নদ
মিশরের নীল নদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী। আফ্রিকার মোট ১১টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে যা পড়েছে ভূমধ্যসাগরে। এই নদীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় কুমির। যার আক্রমণে প্রতি বছর গড়ে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া নদীতে রয়েছে একাধিক শিকারি প্রাণী। নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে বিষাক্ত সাপ ও মশার উপদ্রব।

লাল নদী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাল নদী দেখতে যতটাই সুন্দর, ততটাই বিপজ্জনক। যখন তখন গতিপথ বদলে যায় এই নদীর। ফলে আশপাশের গোটা এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে যায় রেড রিভার। এছাড়া এই নদীতে রয়েছে বহু বিপজ্জনক জলজ প্রাণী।

কঙ্গো
আফ্রিকার কঙ্গো নদী বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম নদী। কিছু কিছু জায়গায় এর গভীরতা ৭২০ ফুট। সেখানে নদীর তলদেশে পৌঁছায় না সূর্যালোক। নদীটির উপরের অংশ ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপ। আবার নদীটির নীচের অংশ রয়েছে ডুবন্ত পাহাড়, খাদ ও ঝরনা।

রিও টিন্টো
স্পেনের রিও টিন্টো নদী একাধিক সোনা, রূপা ও তামার খনির মধ্য়ে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সেই কারণে নদীটির পানির রং রক্তের মতো লাল। এই নদীর জল মারাত্মক বিষাক্ত। হাতে গোটা কয়েকটি প্রাণী সেই পানি পান করে বেঁচে থাকতে পারে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি ও চিনের পীত নদী।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া