বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন

- Update Time : ০৩:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
- / ১৪ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের মাত্র আট দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার হলেন স্বামী মেহেদী হাসান (২৭)।
পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান মৃত জলফু মিয়ার ছেলে। তিনি পৌরশহরের মসজিদ পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
শনিবার (১৭ মে) ভোরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে (১৮) আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন জান্নাত আক্তার। মেহেদী হাসানের পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে মাকে নিয়ে মসজিদপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদী হাসানের সঙ্গে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী হাসান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে নিহতের স্ত্রী বাড়ির মালিককে ডেকে বলেন তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে দেখে মেহেদী হাসান ঘরের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, জান্নাত আক্তারের বিয়ের আগ থেকেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। তিনি তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিলেন না। প্রেমের সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ করছে নিহতের পরিবার।
মেহেদীর মা বকুল বেগম বলেন, ‘আট দিন হয়েছে আমার ছেলেরে বিয়ে করালাম। বউয়ের অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম ছিল। সে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আরও জানতে পেরেছি, বিয়ের আগে এক ছেলের সঙ্গে জান্নাতের প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে সে তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না। কোকের সঙ্গে ৬টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে অচেতন করে সে। পরে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।