বিভিন্ন বিভাগের সংস্কার হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

- Update Time : ১১:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৭ Time View
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগের সংস্কার কাজ চলছে, এসব বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।
এ সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সময় পুলিশ প্রশাসনে অস্থিরতা ছিল। সরকারের প্রচেষ্টায় পুলিশকে আস্থার জায়গায় এনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং লালপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডিসিদের মতো যেসব পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে ওএসডি করা বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কাজ চলছে। খুব শিগগিরই সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি রমজান মাসে ওমরা যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের দাম বেশি নেওয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেলের দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীতে আর কোথাও হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, চাকমা, মারমা ও সাঁওতাল একসঙ্গে এমন সুন্দরভাবে মিলে-মিশে বসবাস করে না। পৃথিবীতে এটা একটা অনন্য রোল মডেল। যেকোনো মূল্যে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি টিকিয়ে রাখতে হবে। সব ধর্মের মানুষই এই দেশের নাগরিক। তাদের অধিকারও সমান। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের সব মুসলিমদের মসজিদমুখি ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দেশের অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। নামাজ মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখে। হিংসুক বা ছোট মনের মানুষ কখনো বড় কিছু করতে পারে না। নামাজ মানুষকে হিংসা থেকেও দূরে রাখে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন, দেশের পিছিয়ে পড়া চাকমা, মারমাসহ ক্ষৃদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে এগিয়ে নিতে আর্থিকভাবে সরকার সহযোগিতা করছে। কোনো ধর্মের মানুষের কাজে কর্মে বাধা, বাড়িঘরে বা ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার কখনো কোন ঘটনা ঘটলে সরকার বরদাশত করবে না কঠোরভাবে তা দমন করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, নবাগত পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, ছাত্র প্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।