ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাঞ্ছারামপুরে উপজেলাও পৌর বিএনপির বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মেহেদী হাসান মেহের,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:১৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৮০ Time View

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাঞ্ছারামপুর মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠে আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছালে মুছা। ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ আকাশও প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

দুপুর থেকেই মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠে জড়ো হন হাজারো নেতাকর্মী। ব্যানার, ফেস্টুন ও শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতির আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠেন। সেই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই দেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হয়েছিল, জাতি পেয়েছিল নতুন দিকনির্দেশনা, আত্মবিশ্বাস ও গণতন্ত্রের ভিত।

বক্তারা আরও বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন। সিপাহী–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ মুক্ত হয়েছিল অরাজকতা থেকে; প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন এক নিষ্কলুষ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সৈনিক—যিনি জাতীয়তাবাদী চেতনার বীজ বপন করে জাতিকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে পরিচালিত করেছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, “৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব কেবল অতীতের একটি ঘটনা নয়, বরং আজও দেশের গণতান্ত্রিক আদর্শ, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার রক্ষার এক অনুপ্রেরণার উৎস। দেশের মানুষকে প্রশাসন ও নির্বাচনে প্রকৃত অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। জবাবদিহি ও সুশাসনের মাধ্যমেই দুর্নীতি ও অন্যায়ের অবসান ঘটানো সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন এখনও প্রকাশিত হয়নি। তাই কেউ হতাশ বা বিভ্রান্ত হবেন না। প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে দলের জন্য কাজ চালিয়ে যান। চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রকাশিত হলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।”

সভাপতির বক্তব্যে ছালে মূসা বলেন, “৭ নভেম্বরের বিপ্লব ছিল দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জাতীয় মর্যাদা পুনরুদ্ধারের এক ঐতিহাসিক মোড়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমাদের প্রেরণা। সেই চেতনা ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”

বক্তারা ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান—যাতে দেশে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার সমাজ প্রতিষ্ঠা পায়।

Please Share This Post in Your Social Media

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাঞ্ছারামপুরে উপজেলাও পৌর বিএনপির বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মেহেদী হাসান মেহের,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:১৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাঞ্ছারামপুর মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠে আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছালে মুছা। ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ আকাশও প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

দুপুর থেকেই মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠে জড়ো হন হাজারো নেতাকর্মী। ব্যানার, ফেস্টুন ও শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতির আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠেন। সেই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই দেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হয়েছিল, জাতি পেয়েছিল নতুন দিকনির্দেশনা, আত্মবিশ্বাস ও গণতন্ত্রের ভিত।

বক্তারা আরও বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন। সিপাহী–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ মুক্ত হয়েছিল অরাজকতা থেকে; প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন এক নিষ্কলুষ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সৈনিক—যিনি জাতীয়তাবাদী চেতনার বীজ বপন করে জাতিকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে পরিচালিত করেছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, “৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব কেবল অতীতের একটি ঘটনা নয়, বরং আজও দেশের গণতান্ত্রিক আদর্শ, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার রক্ষার এক অনুপ্রেরণার উৎস। দেশের মানুষকে প্রশাসন ও নির্বাচনে প্রকৃত অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। জবাবদিহি ও সুশাসনের মাধ্যমেই দুর্নীতি ও অন্যায়ের অবসান ঘটানো সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন এখনও প্রকাশিত হয়নি। তাই কেউ হতাশ বা বিভ্রান্ত হবেন না। প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে দলের জন্য কাজ চালিয়ে যান। চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রকাশিত হলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।”

সভাপতির বক্তব্যে ছালে মূসা বলেন, “৭ নভেম্বরের বিপ্লব ছিল দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জাতীয় মর্যাদা পুনরুদ্ধারের এক ঐতিহাসিক মোড়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমাদের প্রেরণা। সেই চেতনা ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”

বক্তারা ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান—যাতে দেশে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার সমাজ প্রতিষ্ঠা পায়।