বিনাভোটে বিজয়ী হতে নমিনেশন ফরম ছিঁড়ে প্রার্থীর ভাইকে মারধরের অভিযোগ
- Update Time : ১০:৪১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
- / ৯৫ Time View
শহীদ আমান উল্যা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটে শহীদ আমান উল্যা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বিনাভোটে বিজয়ী হতে নমিনেশন ফরম ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে প্রার্থীর ভাইকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয়ের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ নভেম্বর। নমিনেশন ফরম জমা দেওয়া শেষ তারিখ ছিল ২১ অক্টোবর। যাচাই-বাছাই হবে ২২ অক্টোবর। নির্বাচনে ৪ জন অভিভাবক সদস্য ও ১ জন দাতা সদস্য নির্বাচিত হবেন।
দাতা সদস্য পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী একজন মো.ইয়াসিন বাবুল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী। ঢাকায় অবস্থান করায় আমার পক্ষে আমার ভাই মো. হানিফ নমিনেশন ফরম নিতে গেলে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন বিদ্যালয় মাঠে মহড়া দিয়ে ফরম নিতে বাধা দেয়।
রিটার্নি কর্মকর্তা (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও) আরিফুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তারা প্রধান শিক্ষককে বলে ফরম নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। মো. হানিফ নমিনেশন ফরম নিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পর তার কাছ থেকে ফরমটি ছিনিয়ে নিয়ে ফরম ছিঁড়ে ফেলে এবং মারধর করে। বিষয়টি ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে তারা আবারও ফরম নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু যুবদলের নেতারা দ্বিতীয়বার নমিনেমন ফরম ছিঁড়ে আবারও হানিফকে মারধর করে।
দাতা সদস্য প্রার্থী ইয়াসিন বাবুল অভিযোগ করে আরও বলেন, দাতা সদস্য নির্বাচন করতে গিয়ে তার জীবন হুমকির মুখে। তার ভাইকে মারধর করা হয়েছে। নির্বাচনে দাঁড়ালে তাকেও মারধরসহ মেরে ফেলতে পারে। তাই তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় কাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, বিনাভোটের সংস্কৃতি বন্ধ হওয়ার জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে। ভোটের অধিকারের জন্য মানুষ শহীদ হয়েছে। এখনো যদি বিনাভোটে নির্বাচিত হয় তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন ও যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ নাকচ করে বলেন, আমরা নির্বাচনে কোনো পদে প্রার্থী হইনি। নমিনেশন পত্র ছিঁড়ে ফেলার সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয়বার ফরম ছিঁড়ে ফেলার পর বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ওই প্রার্থীর ভাইকে নমিনেশন ফরম উপজেলা থেকে নেওয়ার জন্য বলেছেন। তবে ওই দিন তিনি আর ফরম নিতে আসেননি।
