বিদেশিদের হাতে বন্দর ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি
- Update Time : ০৫:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৪৫ Time View
বিদেশিদের কাছে ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের কাছে ইজারার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন সংগঠনের নেতা-সমর্থকরা। সড়কের পাশে ফুটপাতের উপর মঞ্চ তৈরি করে শত শত শ্রমিক প্রতিবাদে যুক্ত হন।
গণমুক্তি ইউনিয়ন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা বলেন, লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর বিদেশিদের হাতে ইজারার নামে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। অতীতেও এ চক্রান্ত হয়েছে- সফল হতে পারেনি; এবারও সফল হতে পারবে না। বিনা প্রতিরোধে এ চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্ন্তবতী সরকার বন্দর এলাকায় একমাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনা টেন্ডারে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে নিউমুরিং টার্মিনাল তুলে দেওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। গণঅভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার কেন আওয়ামী লীগের এ চক্রান্ত বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।
অনশনে শ্রমিক নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় চট্টগ্রামের নাগরিক, শ্রমিক, পেশাজীবী, ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশবিরোধী এ তৎপরতা প্রতিহত করা হবে। বন্দরের মাশুল বাড়ানোর বিষয়টিকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করছেন তারা। চট্টগ্রাম বন্দর বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপর লাভে আছে। তারপরও বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার আগে তাদের মুনাফা নিশ্চিতের জন্য সরকার বন্দরের ট্যারিফ ৪১% বাড়িয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ও ন্যায্যতা নেই। কিন্তু বর্তমান সরকার যেরকম তড়িঘড়ি ও কারও মতামতের তোয়াক্কা না করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে, তাতে প্রবল সন্দেহ ঘনীভূত হয়ে উঠেছে।
শ্রমিক নেতারা জানান, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারপরও বিদেশিদের স্বার্থে সরকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে একাধিক বন্দর নেই, দেশের সিংহভাগ আমদানি রপ্তানি যে বন্দর দিয়ে হয়, সে বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে কেউ তুলে দেয় না। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানগত কারণে এরসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তার কৌশলগত প্রশ্নও যুক্ত।
কর্মসূচিতে গণমুক্তি ইউনিয়ন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খাকন, ডক শ্রমিক দলের সেক্রেটারি আখতারউদ্দিন সেলিমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়

































































































