ভিডিও ভাইরাল
বিছানায় প্রস্রাব করায় বৃদ্ধ বাবাকে মেয়ের মারধর

- Update Time : ০৫:৫১:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪০৪ Time View
চাঁদপুর শহরে বৃদ্ধ বাবাকে মেয়ের মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ফাতেমা আক্তার শিল্পী নামের ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ অক্টোবর) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফাতেমা আক্তার চাঁদপুর সদর মডেল থানা হেফাজতে বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে শহরের নিউ ট্রাক রোডের কলমতর খান বাড়ি থেকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করেন।
ফাতেমা আক্তার শিল্পী চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের মাস্টার রোলের একজন কর্মচারী। ভুক্তভোগীর নাম মনির হোসেন খান। তার কোনো ছেলে নেই। ফাতেমাসহ তার তিন মেয়ে রয়েছে।
বৃদ্ধ মনির খানের প্রতিবেশী শাহজাহান খান ও তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম বলেন, ‘ঘর থেকে প্রায়সময় বাবা মনির খান ও মেয়ে ফাতেমার উচ্চস্বরে আওয়াজ শোনা যায়। অনেক সময় মনির খানের কান্নাও শোনা যায়।
সম্প্রতি মেয়ের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিবাদ হওয়ায় মনির হোসেনকে বিভিন্ন স্থানে বসে থাকতে দেখি। বিছানায় প্রস্রাব করায় শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে গোসল করানোর সময় তাকে মারধর করেন মেয়ে ফাতেমা।’
ভিডিওতে দেখা যায়, হাতল চেপে টিউবওয়েল থেকে পানি বের করছেন বৃদ্ধ মনির হোসেন। এসময় বিভিন্ন কথা শুনিয়ে তাকে দফায় দফায় ঘুসি-লাথি মারছেন মেয়ে ফাতেমা আক্তার।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ফাতেমা কলেজে মাস্টাররোলের একজন কর্মচারী এবং ল্যাব সহকারী পদে কর্মরত।
তিনি কলেজের শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ভিডিওটিতে প্রচারিত ঘটনাটি একান্তই তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
তিনি আরও বলেন, কলেজ প্রশাসন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। পাশাপাশি তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুসহীন আলম বলেন, ‘ভিডিও দেখে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা ফাতেমা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি।
সকালে তার বাবা থানায় এসেছেন। তিনি এখনো কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি বলছেন, মেয়েকে জেলে দিলে তাকে কে দেখবে?’
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।