ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

বিএনপি শ্রমিকদের সঙ্গে অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে: তারেক রহমান

রাজনীতি
  • Update Time : ০৪:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ১৮ Time View

পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে দেশবিদেশে কর্মরত সব শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে মে দিবসের বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এই বাণীতে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন তিনি।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ১৮৮৬ সালের মে মাসে শিকাগোর হে মার্কেটে আট ঘণ্টা কর্মদিবসসহ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছিলেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। মে দিবসকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদ্‌যাপন দিবস আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী মানুষ এই দিনে সংগঠিতভাবে রাজপথে নেমে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শামিল হয়।

তারেক রহমান জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান নিজেকে একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন এবং বলতেন, শ্রমিকের দুটো হাতই দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। তার সময়েই শ্রমিকদের কল্যাণে নেওয়া হয় যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে শ্রম আইন সংস্কার, বেতন ও মজুরি কমিশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বোনাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন এবং শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষা-চিকিৎসায় বিশেষ কর্মসূচিও নেয়া হয়।

গার্মেন্টস খাতকে দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমনির্ভর শিল্প উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এই শিল্পে শহীদ জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। তার নেওয়া পদক্ষেপেই পোশাক শিল্প আজ দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি।

বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুঃশাসনের সময়ে সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হয়েছে শ্রমিক শ্রেণি। গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিকদের আত্মদানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে। এখন আর শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা থাকার কথা নয়। তথাপি শ্রমিকরা আজও অবহেলিত ও বঞ্চিত।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতির চাপে শ্রমজীবী মানুষ দুঃখ-কষ্টে দিন পার করছেন। দেশে একটি উৎকৃষ্ট গণতান্ত্রিক সমাজভিত্তি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও শোষণমুক্তির সংগ্রাম বেগবান করতে হবে। মহান মে দিবসে এটাই আমাদের শপথ হওয়া উচিত।

তারেক রহমান মে দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন এবং শ্রমিকদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রত্যাশা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি শ্রমিকদের সঙ্গে অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে: তারেক রহমান

রাজনীতি
Update Time : ০৪:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে দেশবিদেশে কর্মরত সব শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে মে দিবসের বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এই বাণীতে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়েছেন তিনি।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ১৮৮৬ সালের মে মাসে শিকাগোর হে মার্কেটে আট ঘণ্টা কর্মদিবসসহ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছিলেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। মে দিবসকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদ্‌যাপন দিবস আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী মানুষ এই দিনে সংগঠিতভাবে রাজপথে নেমে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শামিল হয়।

তারেক রহমান জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান নিজেকে একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন এবং বলতেন, শ্রমিকের দুটো হাতই দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। তার সময়েই শ্রমিকদের কল্যাণে নেওয়া হয় যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে শ্রম আইন সংস্কার, বেতন ও মজুরি কমিশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বোনাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন এবং শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষা-চিকিৎসায় বিশেষ কর্মসূচিও নেয়া হয়।

গার্মেন্টস খাতকে দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমনির্ভর শিল্প উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এই শিল্পে শহীদ জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। তার নেওয়া পদক্ষেপেই পোশাক শিল্প আজ দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি।

বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুঃশাসনের সময়ে সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হয়েছে শ্রমিক শ্রেণি। গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিকদের আত্মদানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে। এখন আর শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা থাকার কথা নয়। তথাপি শ্রমিকরা আজও অবহেলিত ও বঞ্চিত।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতির চাপে শ্রমজীবী মানুষ দুঃখ-কষ্টে দিন পার করছেন। দেশে একটি উৎকৃষ্ট গণতান্ত্রিক সমাজভিত্তি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও শোষণমুক্তির সংগ্রাম বেগবান করতে হবে। মহান মে দিবসে এটাই আমাদের শপথ হওয়া উচিত।

তারেক রহমান মে দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন এবং শ্রমিকদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রত্যাশা করেন।