ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নয়, অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতা আওয়ামী লীগ: ফখরুল

Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২১৯ Time View

বিএনপি কখনো অগ্নিসন্ত্রাস করেনি। এমন দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগ।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার, যাদের কাছে জনগণের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, যে কারণে তারা যা খুশি তাই বলে। যা খুশি তাই করছে। আমরা বারবার বলছি, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। জনগণও তাদের সঙ্গে নেই, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই কারণে এসব কথা বলে বাজার গরম করে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বিএনপি শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির নেতারা একে–অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন।

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন লাগার ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছেই না। ফায়ার ব্রিগেডও বলেছে, এটা শর্টসার্কিটে হতে পারে। সবগুলোতে খেয়াল করে দেখবেন এখানে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত—তারা কথা বলার আগেই প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, এটাতে বিএনপি জড়িত আছে কি না দেখতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি দায়িত্বশীল সরকার কখনোই এই ধরনের উক্তি করতে পারে না। যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলোর যদি সঠিক তদন্ত করতে হয়, নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করে এটা উদ্ধার করতে হবে। তার আগেই যদি সরকারপ্রধান বলে দেন, “এরা দায়ী”, তাহলে যারা তদন্ত করবেন, তাদের ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে তারা অন্য দিকে যাবে!’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন উনারা (আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক) বলছেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি। আরে অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতা তো আওয়ামী লীগ।’

আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য ‘একেবারেই অবান্তর’ বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের একটাই কথা…জনগণ তাদের আর দেখতে চায় না ক্ষমতায়। তাদের উচিত হবে পদত্যাগ করা, সংসদ বিলুপ্ত করা এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন করে নির্বাচন করা। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।

ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা পায়, তখন তারা সবকিছু লুটে নেয়। এরা হচ্ছে সর্বগ্রাসী, দুর্নীতিপরায়ণ, লুটেরা। বর্গিরা যেমন আসে লুট করে নিয়ে চলে যায়, তেমন ওরা ক্ষমতায় এসে লুট করে নিয়ে চলে যায়…এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠক নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে আমরা যাই না। তারা আমাদের আমন্ত্রণ করেছে বলে আমি গিয়েছি। যতবার আমরা গেছি, তাদের আমন্ত্রণে গেছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের চাইতে এক শত ভাগ বেশি তারা (আওয়ামী লীগ) গেছে, এখনো যাচ্ছে। সেই দিনও ওবায়দুল কাদের সাহেব তাদের টিম নিয়ে আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরের কাছে গিয়েছেন। তাহলে সেটা কী? ধরনা কে দিচ্ছে? কোটি কোটি মিলিয়ন ডলারে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে…সব খানে গিয়ে তারা বলছে যে ভাই, এবারকার নির্বাচনটা আমাদের করতে দাও, এভাবে করতে দাও, যাতে আমাদের প্রতিপক্ষ কেউ না থাকে, যাতে করে আমরা আগের মতোই ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে পারি।

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আদালতের দেওয়া রায় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এই অবৈধ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পূর্বেই বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাদের আটকে রাখা। যেমন তিনবারের সংসদ সদস্য, জনপ্রিয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখার একটা প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছে।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর জব্দতালিকা প্রণয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘটনার ১২ বছর পরে জব্দতালিকা তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কের ওপর থেকে বুলেটের খোসা, একটা কালো রঙের মুজিব কোট, দুটি স্যান্ডেল ইত্যাদি উদ্ধার করে আলামত দেখানো হয়। এক যুগ পরে? ওই সময়ের মধ্যে ওই মহাসড়ক সংস্কারও হয়েছে কয়েকবার।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরপর উনারা আলামত কীভাবে পেলেন, কীভাবে এটা সত্যতার প্রমাণ করছেন—এটা কারও কাছে বোধগম্য নয়।’

ফখরুল বলেন, ‘হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সাজা প্রদান সরকারের নীলনকশার অংশ। এটা শুধু হাবিব সাহেব নয়, দেখবেন খুব দ্রুত বিএনপি ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অনেককেই এ ধরনের মিথ্যা মামলা এগিয়ে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ করছি যে মামলাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এসব করে যদি তারা মনে করে থাকেন যে জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করবেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বঙ্গবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে এসব অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্যসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি নয়, অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতা আওয়ামী লীগ: ফখরুল

Update Time : ১১:১৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

বিএনপি কখনো অগ্নিসন্ত্রাস করেনি। এমন দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগ।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার, যাদের কাছে জনগণের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, যে কারণে তারা যা খুশি তাই বলে। যা খুশি তাই করছে। আমরা বারবার বলছি, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। জনগণও তাদের সঙ্গে নেই, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই কারণে এসব কথা বলে বাজার গরম করে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বিএনপি শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির নেতারা একে–অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন।

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন লাগার ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছেই না। ফায়ার ব্রিগেডও বলেছে, এটা শর্টসার্কিটে হতে পারে। সবগুলোতে খেয়াল করে দেখবেন এখানে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত—তারা কথা বলার আগেই প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, এটাতে বিএনপি জড়িত আছে কি না দেখতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি দায়িত্বশীল সরকার কখনোই এই ধরনের উক্তি করতে পারে না। যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলোর যদি সঠিক তদন্ত করতে হয়, নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করে এটা উদ্ধার করতে হবে। তার আগেই যদি সরকারপ্রধান বলে দেন, “এরা দায়ী”, তাহলে যারা তদন্ত করবেন, তাদের ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে তারা অন্য দিকে যাবে!’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন উনারা (আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক) বলছেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি। আরে অগ্নিসন্ত্রাসের মূল হোতা তো আওয়ামী লীগ।’

আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য ‘একেবারেই অবান্তর’ বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের একটাই কথা…জনগণ তাদের আর দেখতে চায় না ক্ষমতায়। তাদের উচিত হবে পদত্যাগ করা, সংসদ বিলুপ্ত করা এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন করে নির্বাচন করা। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।

ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা পায়, তখন তারা সবকিছু লুটে নেয়। এরা হচ্ছে সর্বগ্রাসী, দুর্নীতিপরায়ণ, লুটেরা। বর্গিরা যেমন আসে লুট করে নিয়ে চলে যায়, তেমন ওরা ক্ষমতায় এসে লুট করে নিয়ে চলে যায়…এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠক নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে আমরা যাই না। তারা আমাদের আমন্ত্রণ করেছে বলে আমি গিয়েছি। যতবার আমরা গেছি, তাদের আমন্ত্রণে গেছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের চাইতে এক শত ভাগ বেশি তারা (আওয়ামী লীগ) গেছে, এখনো যাচ্ছে। সেই দিনও ওবায়দুল কাদের সাহেব তাদের টিম নিয়ে আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরের কাছে গিয়েছেন। তাহলে সেটা কী? ধরনা কে দিচ্ছে? কোটি কোটি মিলিয়ন ডলারে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে…সব খানে গিয়ে তারা বলছে যে ভাই, এবারকার নির্বাচনটা আমাদের করতে দাও, এভাবে করতে দাও, যাতে আমাদের প্রতিপক্ষ কেউ না থাকে, যাতে করে আমরা আগের মতোই ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে পারি।

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আদালতের দেওয়া রায় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এই অবৈধ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পূর্বেই বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাদের আটকে রাখা। যেমন তিনবারের সংসদ সদস্য, জনপ্রিয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখার একটা প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছে।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর জব্দতালিকা প্রণয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘটনার ১২ বছর পরে জব্দতালিকা তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কের ওপর থেকে বুলেটের খোসা, একটা কালো রঙের মুজিব কোট, দুটি স্যান্ডেল ইত্যাদি উদ্ধার করে আলামত দেখানো হয়। এক যুগ পরে? ওই সময়ের মধ্যে ওই মহাসড়ক সংস্কারও হয়েছে কয়েকবার।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরপর উনারা আলামত কীভাবে পেলেন, কীভাবে এটা সত্যতার প্রমাণ করছেন—এটা কারও কাছে বোধগম্য নয়।’

ফখরুল বলেন, ‘হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সাজা প্রদান সরকারের নীলনকশার অংশ। এটা শুধু হাবিব সাহেব নয়, দেখবেন খুব দ্রুত বিএনপি ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অনেককেই এ ধরনের মিথ্যা মামলা এগিয়ে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ করছি যে মামলাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এসব করে যদি তারা মনে করে থাকেন যে জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করবেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বঙ্গবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে এসব অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্যসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।