ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না : সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৮ Time View

বিএনপি কোনোভাবেই সংখ্যানুপাতিক বা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ ঐকমত্য কমিশনে তিনটি বিষয় ছিল, তার মধ্যে দুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে। উচ্চকক্ষে এবং নিম্নকক্ষে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি। তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত, কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কী হবে- এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের আগের জায়গায়ই রয়েছি। ৩১ দফার ভিত্তিতেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের জন্য প্রস্তাব করেছিলাম, যেখানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিফলন থাকবে।

বিএনপি মনে করে সেই উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর অনেক দলই ঐকমত্যে আসেনি। এমনকি কিছু দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মনে করে না বলে জানান বিএনপির এ নেতা।

সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিদ্যমান বিধানে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন হয়। আমরা সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৮, ৪৮, ১৪২ অনুচ্ছেদের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংসদে পাস হওয়ার পরও গণভোটের মাধ্যমে পাস করার প্রস্তাব করেছি, সেটা গৃহীত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না : সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১০:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

বিএনপি কোনোভাবেই সংখ্যানুপাতিক বা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ ঐকমত্য কমিশনে তিনটি বিষয় ছিল, তার মধ্যে দুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে। উচ্চকক্ষে এবং নিম্নকক্ষে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি। তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত, কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কী হবে- এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের আগের জায়গায়ই রয়েছি। ৩১ দফার ভিত্তিতেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের জন্য প্রস্তাব করেছিলাম, যেখানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিফলন থাকবে।

বিএনপি মনে করে সেই উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর অনেক দলই ঐকমত্যে আসেনি। এমনকি কিছু দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মনে করে না বলে জানান বিএনপির এ নেতা।

সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিদ্যমান বিধানে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন হয়। আমরা সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৮, ৪৮, ১৪২ অনুচ্ছেদের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংসদে পাস হওয়ার পরও গণভোটের মাধ্যমে পাস করার প্রস্তাব করেছি, সেটা গৃহীত হয়েছে।