ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি : মির্জা ফখরুল

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৬৪৩ Time View

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে। বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসময় তিনি আরও বলেন, একাত্তর সাল আমাদের গর্ব। ওয়ান-এলেভেনে নির্যাতন করে যে নেতাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল তিনিই নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। নতুন করে সুযোগ এসেছে তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার। সবাই বিএনপির পক্ষে দাঁড়ান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। এ দেশে যা কিছু ভালো সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে। কিন্তু এই দল হলো ফিনিক্স পাখির মতো। এ দলকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।

সম্মেলনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যেকোনো নেতার নামে স্লোগান নয়, স্লোগান হবে জিয়াউর রহমান, স্লোগান হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে। যে নেতার নামে স্লোগান দেবেন তারই নম্বর মাইনাস হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আজকের যে গণতন্ত্রের কথা সবাই বলছে সেই গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন জিয়াউর রহমান। গণঅভ্যুত্থানে অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এমন মুক্ত পরিবেশে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও যারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছে সেই ছাত্রজনতাকে অভিনন্দন জানাই।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকের সম্মেলন সাধারণ কোনো সম্মেলন নয়। ১৫ বছর পরে বিএনপির অজস্র নেতাকর্মীর ত্যাগের পরে যে সুযোগ এসেছে সেটি কাজে লাগানোর সম্মেলন।

জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্টেডিয়ামে সমবেত হন। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল চারটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোট দেবেন দুই হাজার নব্বই জন কাউন্সিলর। এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। প্রধান বক্তা যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি : মির্জা ফখরুল

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে। বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসময় তিনি আরও বলেন, একাত্তর সাল আমাদের গর্ব। ওয়ান-এলেভেনে নির্যাতন করে যে নেতাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল তিনিই নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। নতুন করে সুযোগ এসেছে তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার। সবাই বিএনপির পক্ষে দাঁড়ান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। এ দেশে যা কিছু ভালো সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে। কিন্তু এই দল হলো ফিনিক্স পাখির মতো। এ দলকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।

সম্মেলনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যেকোনো নেতার নামে স্লোগান নয়, স্লোগান হবে জিয়াউর রহমান, স্লোগান হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে। যে নেতার নামে স্লোগান দেবেন তারই নম্বর মাইনাস হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আজকের যে গণতন্ত্রের কথা সবাই বলছে সেই গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন জিয়াউর রহমান। গণঅভ্যুত্থানে অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এমন মুক্ত পরিবেশে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও যারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছে সেই ছাত্রজনতাকে অভিনন্দন জানাই।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকের সম্মেলন সাধারণ কোনো সম্মেলন নয়। ১৫ বছর পরে বিএনপির অজস্র নেতাকর্মীর ত্যাগের পরে যে সুযোগ এসেছে সেটি কাজে লাগানোর সম্মেলন।

জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্টেডিয়ামে সমবেত হন। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল চারটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোট দেবেন দুই হাজার নব্বই জন কাউন্সিলর। এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। প্রধান বক্তা যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল।