ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনায় ঢাকা জার্নালিস্ট কাউন্সিল এর শোক উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ২০ বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির শোক প্রকাশ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : আহতদের মেট্রোরেলে বহনে বগি রিজার্ভ হাসিনা-কাদেরের ঘনিষ্ঠ আ.লীগ নেতাদের সাথে বিএনপি নেতার ছবি ভাইরাল   শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক বার্তা উত্তরার মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত; নিহত ১, আহত ২০ কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর চকরিয়ায় হরতালের সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের বিক্ষোভ

বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল

সাজিদ মাহমুদ ইফতি, ঢাকা
  • Update Time : ০৯:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৩ Time View

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুরো জাতি শোকে স্তব্ধ। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। তবে এমন শোকাবহ পরিস্থিতিতে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাধারণ মানুষ।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আহতদের জীবন বাঁচাতে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রক্তদানের জন্য মানুষের ঢল নেমেছে। হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ভিড় করছেন। এমন উদ্যোগ প্রমাণ করে, দুর্যোগে মানুষ এখনো মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ পুড়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন রক্তদানের জন্য।

হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবী আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“সংবাদ দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। উনি ও পজিটিভ, আমি বি নেগেটিভ—যার যেখানে দরকার হবে, রক্ত দিতে রাজি আছি।”

রক্তের সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে নেগেটিভ গ্রুপের ক্ষেত্রে। পজিটিভ গ্রুপের রক্তদাতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হলেও, নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তদানের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রক্তদান সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবাই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভিড় করছেন রক্ত দিতে। হাসপাতালের ফটকে রক্তদাতাদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে—যেখানে অনেকেই একসঙ্গে একাধিক জনকে নিয়ে এসেছেন।

এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে মানুষের এমন এগিয়ে আসা নিঃসন্দেহে একটি আশার আলো দেখিয়েছে—যেখানে মানুষ শুধু সাড়া দেয়নি, বরং নিজেদের রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে এসেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল

সাজিদ মাহমুদ ইফতি, ঢাকা
Update Time : ০৯:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুরো জাতি শোকে স্তব্ধ। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। তবে এমন শোকাবহ পরিস্থিতিতে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাধারণ মানুষ।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আহতদের জীবন বাঁচাতে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রক্তদানের জন্য মানুষের ঢল নেমেছে। হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ভিড় করছেন। এমন উদ্যোগ প্রমাণ করে, দুর্যোগে মানুষ এখনো মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ পুড়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন রক্তদানের জন্য।

হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবী আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“সংবাদ দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। উনি ও পজিটিভ, আমি বি নেগেটিভ—যার যেখানে দরকার হবে, রক্ত দিতে রাজি আছি।”

রক্তের সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে নেগেটিভ গ্রুপের ক্ষেত্রে। পজিটিভ গ্রুপের রক্তদাতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হলেও, নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তদানের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রক্তদান সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবাই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভিড় করছেন রক্ত দিতে। হাসপাতালের ফটকে রক্তদাতাদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে—যেখানে অনেকেই একসঙ্গে একাধিক জনকে নিয়ে এসেছেন।

এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে মানুষের এমন এগিয়ে আসা নিঃসন্দেহে একটি আশার আলো দেখিয়েছে—যেখানে মানুষ শুধু সাড়া দেয়নি, বরং নিজেদের রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে এসেছে।