ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা! বৈছাআ ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, রংপুরে ছুটে এলেন সারজিস দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে – পানি সম্পদ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে নিন্দা ও প্রতিবাদ এনসিপি’র যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ আগামী বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ভাবির কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন দেবর

বায়ুদূষণ থেকে জনগণের কষ্ট লাঘবে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার – পরিবেশ উপদেষ্টা

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০৫:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১১৩ Time View

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ধুলা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগণের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে সরকার। তবে জ্বালানির মান উন্নয়ন ও রিফাইনারি আধুনিকায়নের মতো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে সময় ও প্রচুর অর্থ প্রয়োজন।

গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে “এয়ার কোয়ালিটি রিসার্চ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল পলিসি ডিসকাশন” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার প্রথমবার মন্ত্রিসভায় বায়ুদূষণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং বর্জ্য নিষ্পত্তির অভ্যাস উন্নয়নের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এই বর্ষায় ঢাকার রাস্তার ডিভাইডারগুলো ঘাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ ও বিআরটিএ’র সঙ্গে যৌথভাবে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্স অ্যাকশন গ্রুপ তৈরি করেছে, যারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাস্তা মেরামতসহ ধুলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করবে।

এসময় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা অ্যামি ক্যাস।

সেমিনারে কী-নোট উপস্থাপন করেন উইসকনসিন-ম্যাডিসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জেমস জে. স্কাওয়ার, সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. বেঞ্জামিন ডি ফয় এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জিল বুমগার্টনার। তারা বিশ্বব্যাপী বায়ু মান ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী পদ্ধতি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ধারা ও সুপারিশ তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ড. জাহিদুল কাইয়ুম, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামিহা নাহিয়ান, বুয়েটের শহীদ উজ জামান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. জিয়াউল হক।

সেমিনারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নিয়েও আলোচনা হয় এবং এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

বায়ুদূষণ থেকে জনগণের কষ্ট লাঘবে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার – পরিবেশ উপদেষ্টা

শরিফুল হক পাভেল
Update Time : ০৫:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ধুলা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগণের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে সরকার। তবে জ্বালানির মান উন্নয়ন ও রিফাইনারি আধুনিকায়নের মতো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে সময় ও প্রচুর অর্থ প্রয়োজন।

গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে “এয়ার কোয়ালিটি রিসার্চ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল পলিসি ডিসকাশন” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার প্রথমবার মন্ত্রিসভায় বায়ুদূষণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং বর্জ্য নিষ্পত্তির অভ্যাস উন্নয়নের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এই বর্ষায় ঢাকার রাস্তার ডিভাইডারগুলো ঘাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ ও বিআরটিএ’র সঙ্গে যৌথভাবে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্স অ্যাকশন গ্রুপ তৈরি করেছে, যারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাস্তা মেরামতসহ ধুলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করবে।

এসময় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা অ্যামি ক্যাস।

সেমিনারে কী-নোট উপস্থাপন করেন উইসকনসিন-ম্যাডিসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জেমস জে. স্কাওয়ার, সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. বেঞ্জামিন ডি ফয় এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জিল বুমগার্টনার। তারা বিশ্বব্যাপী বায়ু মান ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী পদ্ধতি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ধারা ও সুপারিশ তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ড. জাহিদুল কাইয়ুম, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামিহা নাহিয়ান, বুয়েটের শহীদ উজ জামান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. জিয়াউল হক।

সেমিনারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নিয়েও আলোচনা হয় এবং এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে সুপারিশ তুলে ধরা হয়।