ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা! বৈছাআ ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, রংপুরে ছুটে এলেন সারজিস দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে – পানি সম্পদ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে নিন্দা ও প্রতিবাদ এনসিপি’র যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ

বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৪০ Time View

জনরোষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পলাতক রয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

তার অনুপস্থিতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে জুমার নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

এদিকে ওয়ালীয়ুর রহমান খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি শেখ মুজিব, ১৫ আগস্ট ও ‘শহিদ’ শব্দ নিয়ে কথা বলেছেন। পরে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ওয়ালীয়ুর রহমান খান বলেন, বঙ্গবুন্ধ একেবারেই জানতেন না— ঘুম থেকে উঠেছেন পর তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার সঙ্গে অন্যরা, তারা প্রচলিত আইনে বা শরিয়া আইনে কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নন তাদের হত্যা করা হয়েছে, তাহলে তারা শহিদ। আর অন্য দৃষ্টিতে সেখানে অবলা নারী ছিলেন, মাসুম বাচ্চা শিশু ছেলে রাসেল ছিলেন তাকে হত্যা করার কোনো আইন নেই বা কোনো বৈধতা নেই— মানবতার কোনো স্তরেই এটা পড়ে না।

তিনি আরও বলেন, আজ পর্যন্ত আমার আগে আরও অনেক এ ঘটনার সাক্ষী এ ইতিহাস জানা লাখ লাখ আলেম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। কোনো আলেম কিন্তু এ বিষয়ে কোনো দলিল দিয়ে সমর্থন করে না। কোনো আলেম কোনো ইসলামি দল বা কোনো সাধারণ ইসলমপন্থিরা কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না, সমর্থনও করেনি। কোনো আলেম কিন্তু এটি নিয়ে কোনো কলামও লিখেনি। আমিও সেই সুরেই কথা বলছি— আমি নতুন কিছু বলছি না।

এই গবেষক বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরাই প্রথম শহিদ বলতেন না, তাদের মধ্যে ইসলামের থেকে দূরত্ব ছিল। তারা মনে করতেন শহিদ শব্দটা পকিস্তানের পরিভাষা। শহিদ শব্দটা স্বাধীনতাবিরোধীরা বলে। শহিদ শব্দটা আওয়ামী লীগের পরিপন্থি। তাই আপনি দেখবেন ১৫ আগস্ট এই নির্মম নিষ্ঠুর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কোনো লেখায় শেখ মুজিবসহ কাউকে শহিদ বলা হয়নি। এবং শাহাদাতবার্ষিকী বলা হতো না। এই গত ১৫-১৬ বছর থেকে শাহাদাতবাষির্কী বলা হচ্ছে। আগে মৃত্যুবার্ষিকী তারই বলত। এই জন্য আমরা মনে করি, এখন তাদের উপলব্ধি হয়েছে। এখন ১৫ আগস্টকে জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী বলা হচ্ছে। এখন ১৫ আগস্টে নিহত সবাইকে শহিদ বলা হচ্ছে। মানুষ এভাবে দোয়াও করছেন। শেখ মুজিবের অবদান অনেক, তার নেতৃত্বে জাতি সংগঠিত হয়েছিল দেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিশেষ করে ২৫ মার্চে পাক বাহিনীর অত্যাচারের পর জাতি যে সংগঠিত হলো এবং দেশ যে স্বাধীন হলো এগুলো তো স্বীকার করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ১১:৫৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

জনরোষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পলাতক রয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

তার অনুপস্থিতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে জুমার নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

এদিকে ওয়ালীয়ুর রহমান খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি শেখ মুজিব, ১৫ আগস্ট ও ‘শহিদ’ শব্দ নিয়ে কথা বলেছেন। পরে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ওয়ালীয়ুর রহমান খান বলেন, বঙ্গবুন্ধ একেবারেই জানতেন না— ঘুম থেকে উঠেছেন পর তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার সঙ্গে অন্যরা, তারা প্রচলিত আইনে বা শরিয়া আইনে কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নন তাদের হত্যা করা হয়েছে, তাহলে তারা শহিদ। আর অন্য দৃষ্টিতে সেখানে অবলা নারী ছিলেন, মাসুম বাচ্চা শিশু ছেলে রাসেল ছিলেন তাকে হত্যা করার কোনো আইন নেই বা কোনো বৈধতা নেই— মানবতার কোনো স্তরেই এটা পড়ে না।

তিনি আরও বলেন, আজ পর্যন্ত আমার আগে আরও অনেক এ ঘটনার সাক্ষী এ ইতিহাস জানা লাখ লাখ আলেম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। কোনো আলেম কিন্তু এ বিষয়ে কোনো দলিল দিয়ে সমর্থন করে না। কোনো আলেম কোনো ইসলামি দল বা কোনো সাধারণ ইসলমপন্থিরা কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না, সমর্থনও করেনি। কোনো আলেম কিন্তু এটি নিয়ে কোনো কলামও লিখেনি। আমিও সেই সুরেই কথা বলছি— আমি নতুন কিছু বলছি না।

এই গবেষক বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরাই প্রথম শহিদ বলতেন না, তাদের মধ্যে ইসলামের থেকে দূরত্ব ছিল। তারা মনে করতেন শহিদ শব্দটা পকিস্তানের পরিভাষা। শহিদ শব্দটা স্বাধীনতাবিরোধীরা বলে। শহিদ শব্দটা আওয়ামী লীগের পরিপন্থি। তাই আপনি দেখবেন ১৫ আগস্ট এই নির্মম নিষ্ঠুর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কোনো লেখায় শেখ মুজিবসহ কাউকে শহিদ বলা হয়নি। এবং শাহাদাতবার্ষিকী বলা হতো না। এই গত ১৫-১৬ বছর থেকে শাহাদাতবাষির্কী বলা হচ্ছে। আগে মৃত্যুবার্ষিকী তারই বলত। এই জন্য আমরা মনে করি, এখন তাদের উপলব্ধি হয়েছে। এখন ১৫ আগস্টকে জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী বলা হচ্ছে। এখন ১৫ আগস্টে নিহত সবাইকে শহিদ বলা হচ্ছে। মানুষ এভাবে দোয়াও করছেন। শেখ মুজিবের অবদান অনেক, তার নেতৃত্বে জাতি সংগঠিত হয়েছিল দেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিশেষ করে ২৫ মার্চে পাক বাহিনীর অত্যাচারের পর জাতি যে সংগঠিত হলো এবং দেশ যে স্বাধীন হলো এগুলো তো স্বীকার করতে হবে।