ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড মাদক বিরোধে যুবক খুন, অভিযানে মিললো ৯ কোটি টাকার মাদক নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ-হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৬

বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা

রিমন পালিত, বান্দরবান প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / ৯৬ Time View

বান্দরবানে পাঁচ বছর আগে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে আসামিদের।

রোববার সকালে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জজ বেগম জেবুন নাহার আয়েশা এ রায় প্রদান করেছেন।

কারাদণ্ড পাওয়া চার আসামি হলেন নুরুল আলমের ছেলে রাশেদুল নবী (৩৭), আবদুস সালামের ছেলে মো. কায়সার উদ্দিন (২৭), হাসান আলীর ছেলে মো. ওমর ফারুক (২০) ও আহমদ সৈয়দের ছেলে মো. হানিফ (২২)। চারজনের মধ্যে কায়সার উদ্দিন কারাগারে রয়েছেন। প্রধান আসামি রাশেদুল নবীসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন বলে সরকারি কৌঁসুলি মো. ইসমাইল জানিয়েছেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার এক আসামিসহ বাদী ও উভয় পক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম জেবুন নাহার আয়েশা বলেছেন, মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতার সাক্ষ্য-প্রমাণে এই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মো. ইসমাইল জানিয়েছেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের একজন কারাগারে রয়েছেন, অন্যরা পলাতক।

মামলার বিচার চলাকালে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লিখিত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া  হয়েছে।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার ২১ বছরের ওই তরুণীকে নুরুল আলমের ছেলে রাশেদুল নবী (৩৭) বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলেন।

২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি বিয়ের কথা বলে রাশেদুল নবী তাঁর তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তরুণীকে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালকের পাহাড়ে নিয়ে আসেন। সেখানে তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরে সুয়ালকের স্থানীয় লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করেন। প্রধান আসামি রাশেদুল নবীসহ পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media

বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা

রিমন পালিত, বান্দরবান প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

বান্দরবানে পাঁচ বছর আগে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে আসামিদের।

রোববার সকালে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জজ বেগম জেবুন নাহার আয়েশা এ রায় প্রদান করেছেন।

কারাদণ্ড পাওয়া চার আসামি হলেন নুরুল আলমের ছেলে রাশেদুল নবী (৩৭), আবদুস সালামের ছেলে মো. কায়সার উদ্দিন (২৭), হাসান আলীর ছেলে মো. ওমর ফারুক (২০) ও আহমদ সৈয়দের ছেলে মো. হানিফ (২২)। চারজনের মধ্যে কায়সার উদ্দিন কারাগারে রয়েছেন। প্রধান আসামি রাশেদুল নবীসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন বলে সরকারি কৌঁসুলি মো. ইসমাইল জানিয়েছেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার এক আসামিসহ বাদী ও উভয় পক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম জেবুন নাহার আয়েশা বলেছেন, মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতার সাক্ষ্য-প্রমাণে এই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মো. ইসমাইল জানিয়েছেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের একজন কারাগারে রয়েছেন, অন্যরা পলাতক।

মামলার বিচার চলাকালে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লিখিত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া  হয়েছে।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার ২১ বছরের ওই তরুণীকে নুরুল আলমের ছেলে রাশেদুল নবী (৩৭) বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলেন।

২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি বিয়ের কথা বলে রাশেদুল নবী তাঁর তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তরুণীকে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালকের পাহাড়ে নিয়ে আসেন। সেখানে তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। পরে সুয়ালকের স্থানীয় লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করেন। প্রধান আসামি রাশেদুল নবীসহ পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।