ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলার মূল আসামি গ্রেফতার

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / ১২৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া গৃহবধূ শাহিনুর আক্তার (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সুজন মিয়াকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক গোপন অনুসন্ধানে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য ও পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় শাহিনুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় এবং পরে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত সুজন।

পিবিআই-এর অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, সুজন হত্যাকাণ্ডের পর নারায়ণগঞ্জ ও ভূলতা এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন,শেষে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ছোট শ্যালকের বাসায় আশ্রয় নিয়ে ছিলেন, সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ।

গ্রেফতারের পর ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেন এবং ৩০ জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন ।

উল্লেখ্য, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের থানা রোডে অবস্থিত ‘মোল্লা বাড়ি’ নামের একটি ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন ওই গৃহবধূ শাহীনূর আক্তার। ৬ বছর বয়সী এক সন্তানের মা শাহীনূর আক্তারের স্বামী সৌদি প্রবাসী।

স্থানীয়রা জানান, ভবনের নিচতলায় বসবাস করা ওই গৃহবধূর ফ্ল্যাট শুক্রবার দিনভর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। পরে রাতে ঘর থেকে কিছুটা দুর্গন্ধ বের হলে, ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

পরে পুলিশ রাতেই গিয়ে বাসার দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ ওই গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে জেলা শহর থেকে পুলিশের সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে আসে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলেও ওই গৃহবধূকে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনতে দেখা গেছে। তাদের ধারণা, গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

হত্যাকাণ্ডের সময় গৃহবধূর একমাত্র সন্তান পার্শ্ববর্তী ছলিমাবাদ গ্রামে তার নানা বাড়িতে ছিল।

এই ঘটনার পর এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে ছিলেন, অবশেষে মূল আসামি গ্রেফতারের পর স্বস্তি ফিরে এসেছে ।

সবার একটাই দাবী খুনির ফাঁসি হোক, যাতে এটা দেখে ভবিষ্যতে আর কারো মাথায় হত্যার চিন্তা না আসে।

Please Share This Post in Your Social Media

বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলার মূল আসামি গ্রেফতার

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া গৃহবধূ শাহিনুর আক্তার (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সুজন মিয়াকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক গোপন অনুসন্ধানে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য ও পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় শাহিনুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় এবং পরে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত সুজন।

পিবিআই-এর অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, সুজন হত্যাকাণ্ডের পর নারায়ণগঞ্জ ও ভূলতা এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন,শেষে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ছোট শ্যালকের বাসায় আশ্রয় নিয়ে ছিলেন, সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ।

গ্রেফতারের পর ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেন এবং ৩০ জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন ।

উল্লেখ্য, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের থানা রোডে অবস্থিত ‘মোল্লা বাড়ি’ নামের একটি ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন ওই গৃহবধূ শাহীনূর আক্তার। ৬ বছর বয়সী এক সন্তানের মা শাহীনূর আক্তারের স্বামী সৌদি প্রবাসী।

স্থানীয়রা জানান, ভবনের নিচতলায় বসবাস করা ওই গৃহবধূর ফ্ল্যাট শুক্রবার দিনভর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। পরে রাতে ঘর থেকে কিছুটা দুর্গন্ধ বের হলে, ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

পরে পুলিশ রাতেই গিয়ে বাসার দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ ওই গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে জেলা শহর থেকে পুলিশের সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে আসে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলেও ওই গৃহবধূকে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনতে দেখা গেছে। তাদের ধারণা, গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

হত্যাকাণ্ডের সময় গৃহবধূর একমাত্র সন্তান পার্শ্ববর্তী ছলিমাবাদ গ্রামে তার নানা বাড়িতে ছিল।

এই ঘটনার পর এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে ছিলেন, অবশেষে মূল আসামি গ্রেফতারের পর স্বস্তি ফিরে এসেছে ।

সবার একটাই দাবী খুনির ফাঁসি হোক, যাতে এটা দেখে ভবিষ্যতে আর কারো মাথায় হত্যার চিন্তা না আসে।