ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে এইচএসসি–২০২৫ ফলাফল: ইংরেজি ও আইসিটিতে সবচেয়ে বেশি ফেল

মেহেদী হাসান মেহের,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৬৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন কলেজের এইচএসসি–২০২৫ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা জুড়ে ফলাফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ফলাফল জরিপে দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় সব কলেজেই সবচেয়ে বেশি ফেলের হার ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। এই দুটি বিষয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষক সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাঞ্ছারামপুরের কলেজগুলোতে পড়াশোনার প্রতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মনোযোগ আগের মতো নেই। নিয়মিত ক্লাস, অনুশীলন ও শিক্ষণ–পদ্ধতির ঘাটতি ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।

একজন কলেজ শিক্ষক আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা যদি পড়াশোনার প্রতি আরেকটু আন্তরিক হতাম, তাহলে বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষার্থীরা আজ আরও ভালো ফল পেত।”

অভিভাবকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে শিক্ষকদের আরও সময় দেওয়া উচিত এবং কলেজ প্রশাসনকে শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইংরেজি ও আইসিটিতে দুর্বলতার কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও ভালো ফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, এখনই বিশেষ উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে এ ধারা আরও নিচে নেমে যাবে।

বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষার মান উন্নয়নে এখন দরকার শিক্ষক–শিক্ষার্থী–অভিভাবক সবার একসঙ্গে এগিয়ে আসা। একসাথে চেষ্টা হলেই ফিরবে সোনালী সাফল্যের দিনগুলো।

Please Share This Post in Your Social Media

বাঞ্ছারামপুরে এইচএসসি–২০২৫ ফলাফল: ইংরেজি ও আইসিটিতে সবচেয়ে বেশি ফেল

মেহেদী হাসান মেহের,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন কলেজের এইচএসসি–২০২৫ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা জুড়ে ফলাফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ফলাফল জরিপে দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় সব কলেজেই সবচেয়ে বেশি ফেলের হার ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। এই দুটি বিষয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষক সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাঞ্ছারামপুরের কলেজগুলোতে পড়াশোনার প্রতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মনোযোগ আগের মতো নেই। নিয়মিত ক্লাস, অনুশীলন ও শিক্ষণ–পদ্ধতির ঘাটতি ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।

একজন কলেজ শিক্ষক আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা যদি পড়াশোনার প্রতি আরেকটু আন্তরিক হতাম, তাহলে বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষার্থীরা আজ আরও ভালো ফল পেত।”

অভিভাবকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে শিক্ষকদের আরও সময় দেওয়া উচিত এবং কলেজ প্রশাসনকে শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইংরেজি ও আইসিটিতে দুর্বলতার কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও ভালো ফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, এখনই বিশেষ উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে এ ধারা আরও নিচে নেমে যাবে।

বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষার মান উন্নয়নে এখন দরকার শিক্ষক–শিক্ষার্থী–অভিভাবক সবার একসঙ্গে এগিয়ে আসা। একসাথে চেষ্টা হলেই ফিরবে সোনালী সাফল্যের দিনগুলো।