বাঞ্ছারামপুরে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে সজাগ অবস্থানে ছাত্রদল

- Update Time : ১০:৫২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
- / ৬৯ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহিন এবং সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তীর আহ্বানে জেলা জুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল। তারই অংশ হিসেবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলও রোববার সারাদিন ছিল সজাগ ও সরব।
রোববার নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ডাকা অবৈধ হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জেলা ছাত্রদল নির্দেশ দেয়, যেন কোনোভাবেই সাধারণ জনগণের জান-মাল হুমকির মুখে না পড়ে। সেই নির্দেশনার ভিত্তিতে বাঞ্ছারামপুরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নজরদারি চালায়।
তিনটি ভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে মাঠে নামেন নেতাকর্মীরা। এ সময় বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইব্রাহিম সরকার, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান আব্দুল্লাহ এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ রোমান তদারকি করেন পুরো কার্যক্রম।
রোববার হওয়ায় এটি ছিল বাঞ্ছারামপুরের সাপ্তাহিক হাটবাজার। তাই হাজারো মানুষের ভিড় ছিল সড়কে ও বাজারে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে মিছিল কিংবা শোডাউন না করে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এর ফলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই দিনটি শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক নেতাকর্মী—তেজখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম আলী, ছাত্রনেতা আবু বকর সিদ্দিক, আবির সরকার শুভ, আকরামুল হামিদ, শান্ত, গাজী তামিম, সুমন, মেহেদী, অপু প্রমুখ।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান আব্দুল্লাহ বলেন, “ছাত্রদল আজ প্রমাণ করেছে, রাজনীতি মানে শুধু মিছিল বা স্লোগান নয়—মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল দায়িত্ব। হরতালের নামে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা, দোকানপাট ভাঙচুর বা সড়ক অবরোধের রাজনীতি আমরা করি না। আজকের মতো ব্যস্ত দিনে, আমরা যদি মাঠে না থাকতাম, তাহলে কিছু অপশক্তি সুযোগ নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারত। আমরা দায়িত্বশীলভাবে, সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রেখে মাঠে ছিলাম।
আমাদের নেতা তারেক রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেই আমরা জনগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। ছাত্রদল শুধু আন্দোলনের সংগঠন নয়—এটি দেশের স্বার্থে, মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে এমন একটি গণতান্ত্রিক শক্তি।”