ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বাকৃবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলা, আহত ১৫ নেসকোতে প্রকৌশলী রোকনের গ্রেপ্তারের দাবিতে লংমার্চ ঘোষণা মদ বিক্রি না করায় টঙ্গীর জাবান হোটেলে ভাংচুরের অভিযোগ ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সবাইকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি স্বজনদের গুলিস্তানে চোরাই মোবাইল চক্রের দশ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার: উদ্ধার ১০৩টি ফোন মুনিয়া হত্যাকাণ্ডে আফ্রিদির সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখবে সিআইডি : রাষ্ট্রপক্ষ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১২ কোটি টাকা নিজের জুস পান করে নিজেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য ! জামাতের গায়ে ছুঁচোর গন্ধ বনাম নির্বাচন বানচালের নতুন তত্ত্ব “পি আর”  ফরিদপুরের গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী চুন্নু লাগামহীন দুর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে

বাকৃবি, চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:২৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৪ Time View

oplus_0

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। রাত ৯টার দিকে ছাত্রদল শাখার নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বিজয়-২৪ হল, ভিসির বাসভবনসহ আবাসিক ভবনগুলো প্রদক্ষিণ করেন। এসময় তারা স্লোগান দেন— “চবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “বাকৃবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “ছাত্রদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না”।

পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেকেন্ড গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। তাদের মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও অংশ নেন। মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, “আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরল কেন, সেনাবাহিনী জবাব দে”।

শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, “বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলা ও চবিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে শিক্ষার্থীরা আজ জীবন নিয়ে শঙ্কায়। আমরা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন ও হামলাকারীদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানাই।”

শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ, সেনাসদস্য ও শিক্ষকরা গত বছর চলমান বর্বরতাকে সমর্থন দিয়েছিলেন, সেরকম কিছু পুলিশ ও সেনা সদস্য এবং দানবরূপী শিক্ষকরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তারা যখনই সুযোগ পান, হয় নিজেরা রক্ত ঝরান, না হয় রক্ত ঝরতে দেখে আনন্দ পান। তারা ভেবেছেন, ছাত্র সমাজ ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু আজকের এই ২০-৩০ জন সামনে হাজার জনে পরিণত হয়ে তাদের অপশাসনের অবসান ঘটাবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান বলেন, “প্রথমে বুয়েট, এরপর চবি, এরপর বাকৃবি; এই ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে আমরাই বিপদে পড়ব। আমরা শিক্ষার্থীরা একটা বডির মত, সারা বাংলাদেশের কোনো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলো মানে আমরা আক্রান্ত হয়েছি। সুতরাং, শিক্ষার্থী প্রশ্নে আমরা থাকবো ঐক্যবদ্ধ।”

এসময় তিনি ইন্টেরিম, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা ক্ষমতায় বসে শুধু বিবৃতি দেন। আপনাদের কাজ কি কেবল বিবৃতি দেওয়া?” পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশ প্রশ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবি, চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০২:২৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। রাত ৯টার দিকে ছাত্রদল শাখার নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বিজয়-২৪ হল, ভিসির বাসভবনসহ আবাসিক ভবনগুলো প্রদক্ষিণ করেন। এসময় তারা স্লোগান দেন— “চবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “বাকৃবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “ছাত্রদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না”।

পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেকেন্ড গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। তাদের মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও অংশ নেন। মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, “আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরল কেন, সেনাবাহিনী জবাব দে”।

শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, “বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলা ও চবিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে শিক্ষার্থীরা আজ জীবন নিয়ে শঙ্কায়। আমরা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন ও হামলাকারীদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানাই।”

শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ, সেনাসদস্য ও শিক্ষকরা গত বছর চলমান বর্বরতাকে সমর্থন দিয়েছিলেন, সেরকম কিছু পুলিশ ও সেনা সদস্য এবং দানবরূপী শিক্ষকরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তারা যখনই সুযোগ পান, হয় নিজেরা রক্ত ঝরান, না হয় রক্ত ঝরতে দেখে আনন্দ পান। তারা ভেবেছেন, ছাত্র সমাজ ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু আজকের এই ২০-৩০ জন সামনে হাজার জনে পরিণত হয়ে তাদের অপশাসনের অবসান ঘটাবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান বলেন, “প্রথমে বুয়েট, এরপর চবি, এরপর বাকৃবি; এই ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে আমরাই বিপদে পড়ব। আমরা শিক্ষার্থীরা একটা বডির মত, সারা বাংলাদেশের কোনো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলো মানে আমরা আক্রান্ত হয়েছি। সুতরাং, শিক্ষার্থী প্রশ্নে আমরা থাকবো ঐক্যবদ্ধ।”

এসময় তিনি ইন্টেরিম, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা ক্ষমতায় বসে শুধু বিবৃতি দেন। আপনাদের কাজ কি কেবল বিবৃতি দেওয়া?” পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশ প্রশ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।