বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’

- Update Time : ০৭:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৫৪ Time View
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বহিরাগতদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ (বৃহস্পতিবার) ‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে সংবাদ সম্মেলন ও মৌন মিছিল করেছেন তারা।
বিকেলে আমতলায় প্রেসব্রিফিং করেন তারা। এসময় পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘গত ৩১ আগস্ট (রবিবার) বহিরাগতদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা, সেখানে প্রশাসন ও শিক্ষকরা নীরব থেকেছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। এ হামলা শুধু ইট-পাথরের ওপর নয়- এটি শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব, স্বপ্ন ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা যাবত আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তখন আমাদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। আলোচনার পরে, হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে এবং আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের কোনোরকম প্রশাসনিক বা শিক্ষাগত হয়রানি করা হবে না- এই দুইটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত দুইটি মেনে নিয়ে উপাচার্য স্বাক্ষরিত লিখিত নথি প্রকাশ করার আশ্বাস আমাদের দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তা আমরা এখনও পাই নি। এরমধ্যে গতকাল (বুধবার) আমাদেরকে পুনরায় আলোচনার জন্য ডাকা হয়। ওই দুইটি সিদ্ধান্তের বিষয়ে লিখিত নথি হাতে পেলে আমরা আলোচনায় বসতে রাজি।’
এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় শিক্ষার্থীরা মাথায় লাল কাপড় বেঁধে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন করিডোর থেকে মৌন মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি নিয়ে করিডোর প্রদক্ষিণ করে তারা কৃষিবিদ চত্বরে পৌঁছান এবং সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন তারা মাথার লাল কাপড়টি খুলে তা চোখে বেঁধে নেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় প্রশাসন এমন অন্ধের মতো ভূমিকায় আছে- এমনটি উল্লেখ করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মীরা বলেন, ‘আমাদের চোখ এখন যেমন বন্ধ তেমন আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের চোখ ও বন্ধ। তারা এই বর্বর হামলায় আমাদের করুণ অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন না। তাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তাদের অবস্থান বোঝালাম। সেই সাথে আমরা এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহিদুল হক বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদেরকে গতকাল টেকনিক্যাল ডকুমেন্ট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা জমা না দেওয়ায় সিন্ডিকেট সভা করা সম্ভব হয়নি। সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট লিখিত শর্ত দরকার যে এই এই শর্তে সভা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সেই শর্ত হিসেবে লিখিত ডকুমেন্ট আমাদের হাতে আসতে হবে। শিক্ষার্থীরা লিখিত প্রস্তাব দিলে আমরা আলোচনায় বসে সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করতে পারব।’
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়