ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সেমিনার

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / ৩৬ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটায় বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগিতায় সেমিনারটির আয়োজন করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাথে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দেশে এখনও অনেকেই জানেন না ভোক্তা অধিকার কী, কীভাবে অভিযোগ করতে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে এ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি, মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং ভোক্তা অধিকার কর্মীরা।

এসময় মূল আলোচক জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, “ভোক্তা অধিদপ্তর যে পরিমাণ সেবামূলক কাজ করছে, দেশের গণমানুষের আস্থা জায়গা তৈরি হয়েছে অধিদপ্তরের প্রতি, ফলে দেশে ইতিবাচক ভাবমূর্তির প্রতিফলন ঘটছে। আমি যখন ভোক্তা আমার অধিকার আছে, তেমনি আমার উপর কর্তব্য বর্তায়। আমাকে সচেতন হতে হবে, দ্রব্যের উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ শেষ, সর্ব বিষয়ে ধারণা থাকা একজন ভোক্তার প্রধান কর্তব্য।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা নিজেরা যদি সচেতনতা না হয় তাহলে যত আইন প্রণয়ন করা হোক না কেনো লাভ হবে না। আপনারা কোনো ভোক্তা সমস্যায় পড়লে সিসিএমএস এর মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

বাকৃবি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি বলেন, “ভোক্তাদের অধিকার ও কর্তব্য খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় থাকা। কোনো জিনিস না জেনে খাওয়া ঠিক না। কিভাবে তৈরি করা হচ্ছে, কি কি উপাদান আছে, কতদিন মেয়াদ আছে এসব বিষয় সঠিক তথ্য ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। আমাদের আশেপাশে যত বেকারী অধিকাংশ অপরিচ্ছনভাবে ভাবে তৈরি করে। আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দেশের যত বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা তাদের শুধু লাভের চিন্তা করে, ভোক্তাদের প্রতি কোনো কর্তব্য নেই। এসব বিষয়ে ভোক্তাদের প্রতিবাদী হতে হবে। যদি তারা সচেতন হই তাহলে আইন প্রয়োগ সহজ হবে। “

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সেমিনার

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটায় বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগিতায় সেমিনারটির আয়োজন করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাথে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দেশে এখনও অনেকেই জানেন না ভোক্তা অধিকার কী, কীভাবে অভিযোগ করতে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে এ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি, মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং ভোক্তা অধিকার কর্মীরা।

এসময় মূল আলোচক জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, “ভোক্তা অধিদপ্তর যে পরিমাণ সেবামূলক কাজ করছে, দেশের গণমানুষের আস্থা জায়গা তৈরি হয়েছে অধিদপ্তরের প্রতি, ফলে দেশে ইতিবাচক ভাবমূর্তির প্রতিফলন ঘটছে। আমি যখন ভোক্তা আমার অধিকার আছে, তেমনি আমার উপর কর্তব্য বর্তায়। আমাকে সচেতন হতে হবে, দ্রব্যের উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ শেষ, সর্ব বিষয়ে ধারণা থাকা একজন ভোক্তার প্রধান কর্তব্য।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা নিজেরা যদি সচেতনতা না হয় তাহলে যত আইন প্রণয়ন করা হোক না কেনো লাভ হবে না। আপনারা কোনো ভোক্তা সমস্যায় পড়লে সিসিএমএস এর মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

বাকৃবি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি বলেন, “ভোক্তাদের অধিকার ও কর্তব্য খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় থাকা। কোনো জিনিস না জেনে খাওয়া ঠিক না। কিভাবে তৈরি করা হচ্ছে, কি কি উপাদান আছে, কতদিন মেয়াদ আছে এসব বিষয় সঠিক তথ্য ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। আমাদের আশেপাশে যত বেকারী অধিকাংশ অপরিচ্ছনভাবে ভাবে তৈরি করে। আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দেশের যত বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা তাদের শুধু লাভের চিন্তা করে, ভোক্তাদের প্রতি কোনো কর্তব্য নেই। এসব বিষয়ে ভোক্তাদের প্রতিবাদী হতে হবে। যদি তারা সচেতন হই তাহলে আইন প্রয়োগ সহজ হবে। “