বাকৃবিতে বৃহত্তর খুলনা সমিতির নবীনবরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

- Update Time : ০৯:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫৫৩ Time View
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বৃহত্তর খুলনা সমিতির (খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট) নবীনবরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারীতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা সমিতির নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পাশাপাশি পিএইচডি স্কলারশিপ অর্জন করায় দুইজন শিক্ষককে এবং নতুন যোগদানকারী এক শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বৃহত্তর খুলনা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। এছাড়াও এনিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আহসান কবীর ও জিটিআই-এর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম সহ খুলনা সমিতির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, নতুনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হলো শেখা, বেড়ে ওঠা ও আত্মপ্রকাশের বিশাল ক্ষেত্র। সিনিয়র-জুনিয়রের সম্পর্ক যত আন্তরিক হবে, ততই জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান সম্ভব হবে। খুলনা সমিতির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃহত্তর খুলনা সমিতি সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। নবীনদের বরণ এবং শিক্ষকদের সংবর্ধনার এই আয়োজন সমিতির আন্তরিকতার প্রতিফলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, প্রথম বর্ষ থেকেই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। কারণ প্রথম বর্ষে ভালো ফলাফল করলে পরবর্তী শিক্ষাজীবনে স্বাভাবিকভাবেই তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং ভালো কিছু করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আঞ্চলিক সমিতিগুলো শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করতে, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নবীনরা যেন শুধুমাত্র নিজ জেলার পরিচয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে জাতীয় উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত হয়, সেই আহ্বান জানাই।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়