ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে বীজের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / ৪৪ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কর্মকর্তাদের জন্য “বীজের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাঁচদিন ব্যাপী ওই কর্মশালা বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীজ রোগতত্ত্ব কেন্দ্র ‘প্রফেসর গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টার’-এর সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বিএডিসি’র আয়োজনে ও আর্থিক সহযোগিতায় সহায়তায় ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির সমাপনী আগামী ২ জুন শেষ হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান, কোষাধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রধান অধ্যাপক ড. কে. এম. গোলাম দস্তগীর এবং বিএডিসি’র রিসার্চ সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. নাজমুল ইসলাম।

কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আয়ুব আলী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বীজের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে মানসম্পন্ন ও রোগমুক্ত বীজের কোনো বিকল্প নেই। বিএডিসির কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, “সিড সায়েন্স নিয়ে এখনো আমাদের সুযোগ রয়েছে। যদিও শুরুতে আমরা পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিতে পারিনি, এখনো এটি ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তব সম্ভাবনা আছে। কারণ বীজ নিয়ে ব্যবসা একটি বড় এবং সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ইতোমধ্যেই ব্যাপকভাবে কাজ করছে, বিশেষ করে কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্সে। তবে বীজের স্বাস্থ্য বা সিড হেলথ বিষয়ে এখনো পর্যাপ্ত কাজ হয়নি। ”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে বছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার সিড (বীজ) ব্যবহৃত হয়। অথচ এখনো অনেকের ধারণা নেই যে সিডের মাধ্যমে রোগ ছড়ায়, এবং এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। সিড বোর্ণ রোগ থেকে মুক্ত রাখার বিষয়টি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিএসডিসি’র অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি ও অবকাঠামো ব্যবহারের মাধ্যমে যদি দক্ষ জনবল তৈরি করা যায়, তবে বীজের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। এই খাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ লোক তৈরি করার বিশাল সুযোগ আমাদের সামনে রয়েছে।”

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবিতে বীজের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কর্মকর্তাদের জন্য “বীজের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাঁচদিন ব্যাপী ওই কর্মশালা বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীজ রোগতত্ত্ব কেন্দ্র ‘প্রফেসর গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টার’-এর সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বিএডিসি’র আয়োজনে ও আর্থিক সহযোগিতায় সহায়তায় ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির সমাপনী আগামী ২ জুন শেষ হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান, কোষাধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রধান অধ্যাপক ড. কে. এম. গোলাম দস্তগীর এবং বিএডিসি’র রিসার্চ সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. নাজমুল ইসলাম।

কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আয়ুব আলী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বীজের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে মানসম্পন্ন ও রোগমুক্ত বীজের কোনো বিকল্প নেই। বিএডিসির কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, “সিড সায়েন্স নিয়ে এখনো আমাদের সুযোগ রয়েছে। যদিও শুরুতে আমরা পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিতে পারিনি, এখনো এটি ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তব সম্ভাবনা আছে। কারণ বীজ নিয়ে ব্যবসা একটি বড় এবং সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ইতোমধ্যেই ব্যাপকভাবে কাজ করছে, বিশেষ করে কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্সে। তবে বীজের স্বাস্থ্য বা সিড হেলথ বিষয়ে এখনো পর্যাপ্ত কাজ হয়নি। ”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে বছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার সিড (বীজ) ব্যবহৃত হয়। অথচ এখনো অনেকের ধারণা নেই যে সিডের মাধ্যমে রোগ ছড়ায়, এবং এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। সিড বোর্ণ রোগ থেকে মুক্ত রাখার বিষয়টি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিএসডিসি’র অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি ও অবকাঠামো ব্যবহারের মাধ্যমে যদি দক্ষ জনবল তৈরি করা যায়, তবে বীজের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। এই খাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ লোক তৈরি করার বিশাল সুযোগ আমাদের সামনে রয়েছে।”