বাকৃবিতে বিএএস-ইউএসডিএ এন্ডাওমেন্ট প্রোগ্রামের ষষ্ঠ ধাপের উদ্বোধনী

- Update Time : ০৫:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫১ Time View
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিএএস-ইউএসডিএ এন্ডাওমেন্ট প্রোগ্রামের ষষ্ঠ ধাপের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৪ আগস্ট ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস (বিএএস) ও যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করে বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন বিএএস ফেলো তাদের গবেষণার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও ফলাফল উপস্থাপনা করেন। পরে উপস্থিত গবেষকরা ওই গবেষণার বিষয়বস্তুর উপর প্রশ্ন ও পরামর্শ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএএস-এর ফেলো ও সচিব অধ্যাপক ড. হাসিনা খান এবং বাকৃবি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, গবেষক এবং স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিএএস-এর ফেলো মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইউএসডিএ’র এন্ডাওমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এর মাধ্যমে গবেষণার মানোন্নয়ন, তরুণ গবেষকদের সম্পৃক্তকরণ এবং উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা সম্ভব হচ্ছে। তাঁরা আরও বলেন, গবেষণার ফল দ্রুত মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারলে কৃষকের আয় বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং টেকসই কৃষি উন্নয়ন সম্ভব হবে।
এসময় বিএএস-এর ফেলো মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. এ এস এম মতিউর রহমান বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে জনবল, যন্ত্রপাতি, ব্যবস্থাপনা, মনিটরিং এবং আর্থিক সহায়তা—এই পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। গবেষণার সময়সীমা নির্ধারণ, গবেষণার ফলের প্রয়োগ এবং একাডেমি ও শিল্পখাতের মধ্যে কার্যকর সংযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। গবেষণাকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে যাতে মান বজায় থাকে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিএএস-এর দীর্ঘ ৩০ বছরের পথচলায় বাকৃবির অবদান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ গবেষকদের সহজ ফান্ডিং সুযোগ কাজে লাগিয়ে সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে। গবেষকরা মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকলে গবেষণার মানও উন্নত হবে এবং গবেষণায় মনিটরিং ব্যবস্থায় মানবিক দিকগুলো বিবেচনায় রাখা দরকার।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়