ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ Time View

গবাদিপশুর জেনেটিক উন্নয়ন এবং দেশীয় দুগ্ধশিল্পকে আধুনিক প্রজনন প্রযুক্তির মাধ্যমে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রিসিশন ব্রিডিং ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

প্রিসিশন ব্রিডিং টু ট্রান্সফর্ম ডেইরি এক্সেলেন্স ইন বাংলাদেশ থ্রু কাটিং-এজ জেনোমিক অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ বায়োটেকনোলজিস শীর্ষক এই কর্মশালাটি হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের অর্থায়নে এবং বাকৃবি অ্যানিমেল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও প্রকল্পের সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক ড. মো শামছুল আলম ভূঁঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসেন।

বক্তারা বলেন, উন্নত জেনোমিক বিশ্লেষণ, সুনির্দিষ্ট প্রজনন প্রযুক্তি ও আধুনিক বায়োটেকনোলজির সমন্বয়ে দেশীয় গবাদিপশুর দুধ উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব। তাদের মতে, প্রিসিশন ব্রিডিং প্রযুক্তি বাংলাদেশের দুগ্ধশিল্পকে দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক খাতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী সম্ভাবনা তৈরি করবে।

কর্মশালায় গবেষক এবং অধ্যাপকরা দুগ্ধখাতের আধুনিকায়ন, উচ্চমানের জাত উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সম্প্রসারণে বিভিন্ন কৌশলগত সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার খামারিরা এখনো অপরিকল্পিত ও এলোমেলোভাবে গবাদিপশু লালনপালন করছেন, বিশেষ করে দেশের ডেইরি শিল্পের স্থানীয় খামারিরা। তারা ভাবেন কোন গরু বেশি দুধ দেবে বা দ্রুত বাচ্চা দেবে—কিন্তু বায়োলজিক্যালভাবে প্রাণিটি সঠিকভাবে ফাংশন করছে কি না, তা তাদের বিবেচনায় আসে না। এই সমস্যা উত্তরণে আমাদের খামারির কাছে যেতে হবে, তাদের বুঝাতে হবে যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বাড়াতে পারে। এই কর্মশালা সেই লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালনা করবে এবং উন্নত জাতের গরুর ব্রিডিং নিয়েও কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, স্নাতক পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারে যারা সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করে, তাদেরকে এই ধরনের প্রকল্পের আওতায় আনা উচিত। ছাত্রাবস্থায় তাদের আগ্রহ বাড়াতে হবে, যাতে তাদের সৃজনশীলতা সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো যায়। দেশে-বিদেশে বাকৃবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেন মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী খেতাব অর্জন করতে পারে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাকৃবির যেকোনো গবেষককে নোবেল পুরস্কার পেতে দেখতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১২:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

গবাদিপশুর জেনেটিক উন্নয়ন এবং দেশীয় দুগ্ধশিল্পকে আধুনিক প্রজনন প্রযুক্তির মাধ্যমে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রিসিশন ব্রিডিং ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

প্রিসিশন ব্রিডিং টু ট্রান্সফর্ম ডেইরি এক্সেলেন্স ইন বাংলাদেশ থ্রু কাটিং-এজ জেনোমিক অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ বায়োটেকনোলজিস শীর্ষক এই কর্মশালাটি হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের অর্থায়নে এবং বাকৃবি অ্যানিমেল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও প্রকল্পের সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক ড. মো শামছুল আলম ভূঁঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসেন।

বক্তারা বলেন, উন্নত জেনোমিক বিশ্লেষণ, সুনির্দিষ্ট প্রজনন প্রযুক্তি ও আধুনিক বায়োটেকনোলজির সমন্বয়ে দেশীয় গবাদিপশুর দুধ উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব। তাদের মতে, প্রিসিশন ব্রিডিং প্রযুক্তি বাংলাদেশের দুগ্ধশিল্পকে দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক খাতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী সম্ভাবনা তৈরি করবে।

কর্মশালায় গবেষক এবং অধ্যাপকরা দুগ্ধখাতের আধুনিকায়ন, উচ্চমানের জাত উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থার সম্প্রসারণে বিভিন্ন কৌশলগত সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার খামারিরা এখনো অপরিকল্পিত ও এলোমেলোভাবে গবাদিপশু লালনপালন করছেন, বিশেষ করে দেশের ডেইরি শিল্পের স্থানীয় খামারিরা। তারা ভাবেন কোন গরু বেশি দুধ দেবে বা দ্রুত বাচ্চা দেবে—কিন্তু বায়োলজিক্যালভাবে প্রাণিটি সঠিকভাবে ফাংশন করছে কি না, তা তাদের বিবেচনায় আসে না। এই সমস্যা উত্তরণে আমাদের খামারির কাছে যেতে হবে, তাদের বুঝাতে হবে যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বাড়াতে পারে। এই কর্মশালা সেই লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালনা করবে এবং উন্নত জাতের গরুর ব্রিডিং নিয়েও কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, স্নাতক পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারে যারা সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করে, তাদেরকে এই ধরনের প্রকল্পের আওতায় আনা উচিত। ছাত্রাবস্থায় তাদের আগ্রহ বাড়াতে হবে, যাতে তাদের সৃজনশীলতা সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো যায়। দেশে-বিদেশে বাকৃবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেন মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী খেতাব অর্জন করতে পারে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাকৃবির যেকোনো গবেষককে নোবেল পুরস্কার পেতে দেখতে চাই।